নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীর বড়বনগ্রাম খলিল সরকারের মোড় সেখপাড়া এলাকায় একটি বাগান থেকে আম পারাকে কেন্দ্র করে মারামারিতে হয় ছয়জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। জমির মৌজা বড়বনগ্রাম, দাগ নং- ৪২৭৮, খতিয়ান নং-১০৫১, জে.এল নং-৮২, পরিমান ২৭ শতক। নগরীর হাতেম খাঁ কলাবাগান এলাকার রিয়াজ সরদারের ছেলে এ.কে ফরহাদ রাসেল সরদার(৪০)ও আবুল বাশার রাহাত(৩০) এবং দরিখড়বোনা এলাকার মুত আমজাদের ছেলে কামাল হোসেন, (৪৫), বর্ণালীর মোড় এলাকা সৃত সাঈদ এর ছেলে মিজান হোসেন দিপু (২২), আসাম কালোনী এলাকার বজলুর রহমানের ছেলে আল আমিন (২৬) ও কামালকে সাথে করে তাদের দখলী নিজ সম্পত্তিতে আম পারতে যান।
এসময়ে নগরীর বড়বনগ্রাম এলাকার জুগল ফকিরের ছেলে সামসুল আলম (৪২) ও এজাজুল (৩৭), ভাদু মন্ডলের ছেলে জমসেদ (৫৭), মকসেদ (৫২) হারান (৫৫), জমসেদ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৮), শফিকুল ইসলাম বিটন(২৭) ও গফুর (৩০), মকবুলের ছেলে গাফফার(৪০) ও শামীম, কালাম এর ছেলে বাবলু(৩৫), মকসেদ এর ছেলে শাউন (৩২) এবং রফিকসহ আরো ৩০-৪০ মিলে লাঠি-সোটা, জিআই পাইপ ও হাসুয়াসহ দেশীয় অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে গুরুত্বর আহত করে।
এরমধ্যে এ.কে ফরহাদ রাসেল সরদার(৪০)ও আবুল বাশার রাহাত(৩০) অবস্থা গুরুত্বর। এরা উভয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ ও ৮নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর বাকী চারজনের মধ্যে দুইজনের হাতের কলারবোন্ড ভেঙ্গে গেছে। তারা চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে বাড়িতে আছেন। এ নিয়ে নগরীর শাহ্ মখ্দুম থানায় রাসেল ও রাহাতের মামা জনি আহম্মেদ বাদী হয়ে উপরোক্ত তেরজনকে আসামী করে অজ্ঞাতনামা আরো ৩০-৪০ নামে মামলা দায়ের করেছেন। যার ধারা-১৪৩,৪৪৭,৩২৩,৩২৫,৩২৬,৩০৭ ও ৫০৬ পেনাল কোড।
এজাহারে উল্লেখ করা হয় উক্ত তপশিলভূক্ত সম্পত্তি নিয়ে আসামীদের সাথে মামলা চলে আসছে। রাসেল ও রাহাত গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকজনকে সঙ্গে করে ঐ জমিতে থাকা আম গাছ থেকে আম পারতে যান। এসময়ে এজাহারভূক্ত আমাসীরাসহ ৩০-৪০ জন মিলে লাঠি-সোটা, জিআই পাইপ ও হাসুয়াসহ দেশীয় অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে এলোপাতারী মারপিট শুরু করে। পরে গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই মামলায় শাহ্ মখ্দুম থানা পুলিশ বড়বনগ্রাম এলাকার জুগল ফকিরের ছেলে সামসুল আলম ও জমসেদ এর ছেলে সাইফুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলামকে আটক জেল হাজতে প্রেরন করেছে বলে জানান মামলার বাদী জনি। তবে মামলার বিষয়ে শাহ্ মখ্দুম থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল সরকারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ঘটনা নিয়ে উভয় পক্ষ মামলা করেছেন। থানা কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে উভয় পক্ষের পাঁচজনকে আটক করেছেন। অন্যান্য আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।