শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ অপরাহ্ন

কম্বোডিয়ার সামরিক বাহিনীতে যোগ দিলো ২০টি ইঁদুর

  • প্রকাশ সময় সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১
  • ২৮৯ বার দেখা হয়েছে

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সামরিক বাহিনীতে কুকুরের ব্যবহার আদিকাল থেকেই। ঘ্রাণ শক্তি আর শত্রুর উপস্থিতি বের করতে পটু হওয়ায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশের বাহিনী কুকুর ব্যবহার করে। তবে আফ্রিকার দেশ কম্বোডিয়ার সামরিক বাহিনীতে ইঁদুর ব্যবহারে বেশ সাড়া ফেলেছে। স্থল মাইন অপসারণে নিয়োজিত একদল ইঁদুরকে অবসরে পাঠানোয় নতুন আরও ২০টি ইঁদুর নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এশিয়া মহাদেশের ছোট একটি দেশ কম্বোডিয়া। দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলার সময় শত্রুপক্ষের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বহু স্থল মাইন অপসারণ করে যাচ্ছে দেশটির সরকার। মাটির তলদেশে থাকা এসব মাইন খুঁজতে দীর্ঘদিন ধরেই কাজে লাগানো হচ্ছে ইঁদুর। ইতোমধ্যে বেশ সাফল্যও এসেছে।

তানজানিয়া থেকে আমদানিকৃত এসব ইঁদুরের ঘ্রাণ শক্তি তীব্র হওয়ায় সহজেই মাইন শনাক্ত করতে পারে। আফ্রিকা বা গাম্বিয়ান পাউচ প্রজাতির ইঁদুরগুলো স্থল মাইন শনাক্তের পাশাপাশি যক্ষ্মা’র মতো রোগের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়। এগুলো তানজানিয়ায় বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত।

আগের ব্যাচের ইঁদুরেগুলো দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে সামরিক বাহিনীতে যুক্ত ছিলো। এবার তাদের অবসরে পাঠানো হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত ব্যাচের মধ্যে মাগওয়া নামে একটি ইঁদুর রয়েছে। এই ইঁদুরটি এক লাখ ৪১ হাজার স্কয়ার মিটার জায়গা পরিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। যা ২০টি ফুটবল খেলার মাঠের সমান। ৭১টি স্থল মাইন এবং ৩৮টি অবিস্ফোরিত কামানও খুঁজে বের করে। এমন সাহসিকতার জন্য স্বর্ণ পদক পায় ইঁদুরটি।

পুরনো দলকে অবসরে পাঠানোয় নতুন করে ২০টি ইঁদুরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৪৮টি ইদুর স্থলমাইন খোঁজার কাজ করছে। এদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তানজানিয়ার অ্যাপোপো নামের একটি সংগঠন।

তানজানিয়া থেকে আমদানিকৃত এসব ইঁদুরের ঘ্রাণ শক্তি তীব্র হওয়ায় সহজেই মাইন শনাক্ত করতে পারে। ২০১৬ সাল থেকেই স্থল মাইন অপসারণে ইঁদুর ব্যবহার করে কম্বোডিয়া। এতে ব্যাপক সাফল্যও পেয়েছে দেশটি। ১৯৬৯ সালে কম্বোডিয়া স্থল মাইন বিস্ফোরণে বহু মানুষ হতাহত হন।

 

 

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2021 dailysuprovatrajshahi.com
Developed by: MUN IT-01737779710
Tuhin