নিজস্ব পতিবেদক: করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ প্রতিরোধ ১১ জুন থেকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকায় চলছে সাতদিনের সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন। এই লকডাউনের ফলে রাজশাহীতে করোনার সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। সর্বশেষ সোমবার রাজশাহীর দুটি পিসিআর ল্যাবে রাজশাহীর ৩৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিলো। এতে ১১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। যার শতকরা হার ছিলো ৩০.১৭ শতাংশ। এই হার আগের দিন রোববারের চেয়ে ১১.১ শতাংশ কম। রোববার সংক্রমণের হার ছিল ৪১.১৮ শতাংশ। আর গত শনিবার ছিল ৫৩. ৬৭ শতাংশ। গত দুই দিনে রাজশাহীতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার কমেছে ২৩.৫০ শতাংশ।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী আজ মঙ্গলবার(১৫ জুন) সকালে বলেন, এখন যাঁরা শনাক্ত হচ্ছেন তাঁরা লকডাউন শুরুর আগেই আক্রান্ত হয়েছেন। লকডাউনের সাতটা দিন গেলে কিছুটা উন্নতি হবে। আর লকডাউন সাধারণত ১৪ দিন হলে সবচেয়ে বেশি ভাল ফল পাওয়া যায়। এদিকে লকডাউনের পঞ্চম দিন মঙ্গলবার নগরীতে যানবাহনের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি দেখা গেছে। তবে মার্কেট-দোকানপাট ছিল বন্ধ।
নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আগের চার দিনের তুলনায় শহরে রিকশা, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের চলাচল বেশি। এছাড়াও পাড়া মহল্লার ব্যাবসায়ীরা পুলিশের সঙ্গে চোর পুলিশ খেলছে। একজন করে পাহারা দিচ্ছে, আর অন্যজন ব্যবসা করছে। পুলিশের গাড়ির শব্দ পেলেই তারা দোকানের শাটার নামিয়ে আড়ালে চলে যাচ্ছে। কোন কোন দোকান আবার রাতের অর্ধেক পর্যন্তও চলতে দেখা যায়।
অনেক দোকানদার দোকানের ভিতরে থেকে শাটার নামিয়ে দিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। আজব তাদের চরিত্র। মঙ্গলবার থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে রাজশাহী শহরে। এর ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালনেও বিঘ্ন ঘটেছে। এই সুযোগে নগরীতে যানবাহনের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে। তবে লকডাউনের এই কয়েকদিনে সন্ধ্যার পর শহর সুনশান নীরব হয়ে যাচ্ছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরিফুল হক বলেন, সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ-প্রশাসন কাজ করছে। পুলিশ, র্যাব, আনসারের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতও মাঠে আছে। বিনাকারণে বাড়ির বাইরে বের হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।