নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীতে আরেক দফা বাড়লো কঠোর লকডাউন। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে জানান রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি বলেন, রাজশাহী অবস্থা খুব ভাল নয়। আক্রান্তের হার উদ্বেগজনক। এই অবস্থায় কঠোর লকডাউন ছাড়া কোন বিকল্প নাই। বাঁচতে হলে সবাইকে এই নির্দেশনা মানতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আগামীতে ঈদ-উল আযহা উদযাপিত হবে। এসময়ে যেন মানুষ নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় ও ঈদ উদযাপন করতে পারে তার জন্য এই ব্যবস্থা । অন্য কোন কিছু না ভেবে সবাইকে এই লকডাউন মানার আহ্বান জানান তিনি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও করোনা থেকে জনগণকে রক্ষা করতে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর নির্দেশনায় আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন এবং আইনশৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসনের সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান মেয়র।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, রাজশাহী মহানগরী লকডাউন হলেও পরোক্ষভাবে পুরো জেলাকে লকডাউন করা হচ্ছে। কারন মহানগরীর সাথে কোন জেলা ও উপজেলার সম্পর্ক থাকবেনা। মহানগর থেকে কোন প্রকার যানবাহন অন্য জেলা বা উপজেলায় যেতে এবং আসতে দেয়া হবেনা বলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন। তিনি আরো বলেন জরুরী সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ছাড়া কোন সরকারী বেসরকারী অফিস খোলা থাকবে না।
সেইসাথে নিত্যপন্য, কাঁচাবাজার ও ঔষধ ছাড়া সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং খাবার হোটেল বন্ধ থাকবে। এছাড়ার নগরীতে অতি জরুরী ছাড়া কোন প্রকার যানবাহন চলতে দেয়া হবেনা বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, কোন বেসরকারী সংস্থা (এনজিও) যদি জোর করে ঋনের কিস্তি আদায় করে, তাহলে জেলা প্রশাসনকে জাননোর জন্য বলেন তিনি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন বলে হুঁশিয়ারী দেন জেরা প্রশাসক।
এদিকে আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, রাজশাহীর অবস্থা অনেকটাই খারাপ। বিভিন্ন মহল্লা ও পাড়ায় পাড়ায় করোনা রোগিরা বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁর দপ্তর থেকে বাড়িতে বাড়িতে অক্সিজেন সেবা প্রদান করছেন। এই অবস্থায় পুরো মেট্রোপলিটন এলাকা কঠোর লকডাউনের মধ্যে থাকবে। কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবেনা বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেইসাথে সরকারী নির্দেশনা মানার জন্য জনগণকে অনুরোধ করেন কমিশনার।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী, সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরিফুল হক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম ও রাজশাহী মহানগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।