এস.আর.ডেস্ক: সারাদেশে ব্যাটারি ও মোটরচালিত অটোরিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় শিগগির এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করবে। রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য টাস্কফোর্সের সভা এদিন অনুষ্ঠিত হয়।
সভাশেষে ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘সারাদেশে রিকশাভ্যানের ভেতরে ব্যাটারিচালিত মোটর লাগিয়ে রাস্তায় চলছে। সামনের চাকায় শুধু ব্রেক। পেছনের চাকায় কোনো ব্রেক নেই কিংবা ব্রেকের ব্যবস্থা থাকলেও অপ্রতুল। সেগুলো যখন ব্রেক করে প্যাসেঞ্জারসহ গাড়ি উল্টে যায়। এই দৃশ্য আমরা দেখেছি। আমরা দেখেছি হাইওয়েতেও এই রিকশা চলে এসেছে। সেজন্য আমরা সারাদেশে এই ধরনের ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি হবে।’
টাস্কফোর্সের বেশ কিছু সুপারিশ বাস্তবায়নের পথে এবং কিছু কিছু সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাকিগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করব সেজন্য একটা কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছি। সেগুলো নিয়ে আমরা পরবর্তী মিটিংয়ের দীর্ঘ আলোচনা করব।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সরকার কিংবা কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত টোল বা রাজস্ব নির্ধারিত টার্মিনাল থেকেই আদায় করতে হবে। যত্রতত্র যানবাহন দাঁড় করিয়ে কোনো চাঁদা আদায় করা যাবে না।
মন্ত্রী বলেন, ‘যারা পরিবহন শ্রমিক আছেন তাদের মালিকপক্ষ থেকে নিয়োগপত্র দিতে হবে। আজকের বৈঠকে তারা উভয়পক্ষই ছিলেন। খুব দ্রুত এই বিষয়টি তারা বাস্তবায়ন করবেন বলে জানিয়েছেন।’
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘আমরা দেখছি মোটরসাইকেলে তিন-চার জন করে উঠছেন। এজন্য প্রায়ই তারা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন বা কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। মোটরসাইকেলে কোনোভাবেই চালকসহ দুইজনের বেশি যেন উঠতে না পারেন সেজন্য পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশের দুর্ঘটনাগুলোর কারণগুলো নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আজকের বৈঠকে বুয়েটের বিশেষজ্ঞরাও ছিলেন। তারা সার্ভে করে আমাদের একটা বিস্তারিত প্রতিবেদন দেবেন। অনিবন্ধিত যেসব মোটরসাইকেল চলে, সেগুলোকেও নজরদারিতে আনা হবে। নিবন্ধন ছাড়া যাতে কোনও যানবাহন রাস্তায় চলতে না পারে।’