নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার যখন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে চলছে। তখন খোদ স্থানীয় সরকারের সদস্যের প্রত্যক্ষ মদদে চলছে মাদকের রোমরমা ব্যবসা। গোদাগাড়ীর দেওপাড়ার ডাইংপাড়ায় চলছে দেশীয় মদের (চুয়ানী) ব্যবসা। আর ব্যবসার টাকা উত্তোলন ও মাদক তৈরী ও ব্যবসায়ীদের সার্বিক সহযোগিতা করছেন খোদ দেওপাড়া ইউপি ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মোক্তার আলী। তিনি পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে এই টাকা উত্তেলোন করেন বলে নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক ডাইংপাড়াসহ আশেপাশের লোকজন এমন অভিযোগ করেন।
তারা বলেন, এখানে প্রতিদিন শতশত মানুষ আসে চুয়ানী পান ও ব্যবসার জন্য নিয়ে যেতে। এতে একদিকে যেমন এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, তেমনি অত্র এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেরা ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে। সেইসাথে যুবতী মেয়েদের নিয়ে অভিভাবকরা পড়েছের নানা বিড়ম্বনায়। কিছু বলতে গেলে নেমে আসে নির্যাতন। মেম্বরের ভয়ে কেউ সাহস করে কথা বলতে পারেনা বলে জানান ভুক্তোভোগিরা। তারা আরো বলেন, শুধু মোক্তার আলী নয়, এর সঙ্গে আইনশৃংখলা বাহিনীর এক সদস্য জড়িত বলে জানান তারা। আর এই টাকা উত্তোলন করতে সহযোগিতা করে আদিবাসী ঈশ্বর ও সোনাতন নামে দুইজন। মাদক ব্যবসায়ী মানুয়েল, ইসমাইল, শিল্পি, নিপেন, সাবিনা, হাবিল ও যোফের নিকট থেকে নিয়মিত টাকা উত্তোলন করেন বলে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য মোক্তার আলীকে মোবাইল করলে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি কারো নিকট টাকা নেন না। তবে এই গ্রামে মাদকের ব্যবসা হয়। যদি কখনো পুলিশ এসে কাউকে ধরে নেয় তাহলে মেম্বর হিসেবে তিনি সেখানে যান বলে জানান মোক্তার আলী।
এদিকে প্রেমতলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বলেন বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।