নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পবা উপজেলা দামকুড়া থানার সামনে মধুপুর বটতলা নামে পরিচিত শতবর্ষী পাইকর গাছ কাটার পাঁয়তারা করছে এক ঠিকাদার। গাছটি রাজশাহী জেলা পরিষদের হওয়ায় জেলা পরিষদ এটা টেন্ডার দিয়েছে বলে জানা গেছে। এই গাছ রক্ষায় পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি আবেদন জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রদান হয়েছে। সেখানে শতাধিক ব্যক্তি স্বাক্ষর করেছেন।
আবেদন উল্লেখ করা হয়। গাছটি বয়স একশ বছরের অধিক হয়েছে। এই গাছের নিচে শত শত মানুষ বিশ্রাম করে। শান্তির নিশ্বাস নেয়। এছাড়াও হাজার হাজার পাখি এই গাছে বসবাস করে। এই গাছটি কেটে ফেললে একদিকে যেমন জনগণের বিশ্রামের স্থান নষ্ট হবে। তেমনি পাখি হারাবে তাদের নিবাস। এলাকাবাসী এই গাছ না কাটতে দেয়ার জন্য প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সেইসাথে আজ বুধবার গাছের নিচে সকাল ১০টায় এই গাছ রক্ষায় এলাকাবাসী মানববন্ধন করবেন বলে জানান তারা।
এবিষয়ে পবা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তফিকুল ইাসলাম বলেন, এইা গাছ তার বাবা দাদার আমল থেকে দেখে আসছেন। এখানে অনেক পথচারী গরমে এবং বৃষ্টিতে আশ্রয় নেয়। সেইসাথে অনেক পাখি এই গাছে বসবাস করে। এছাড়াও এই গ্রাম ও মোড়ের পরিচিতি এই গাছ। কোনভাবেই এই গাছ কর্তন দেয়া হবেনা বলে জানান তিনি।
এদিকে দামকুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন। একদিন কাটতে এসেছিলো। কিন্তু এলাকাবাসী তাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন। তবে এখানে কোন গন্ডোগোল হয়নি বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ঠিকাদার মেসার্স বকুল এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী বকুল হোসেন বলেন, তিনি জেলা পরিষদ থেকে টেন্ডারে মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে কাশিডাঙ্গা হতে কাঁকনহাটের তিলাহারী পর্যন্ত মোট ১৯টি গাছ দুই লক্ষ ঊনআশি হাজার পাঁচশত টাকা দিয়ে নিয়েছেন। তিনি সব টাকা পরিশোধ করেছেন। করোনার কারনে তিনি গাছ কাটতে যাননি। এখন এই গাছ কাটতে যাওয়ার কথা শুনে এলাকবাসী বাধা দিচ্ছে। অথচ এই গাছ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে তিনি দাবী করেন। এ বিষয়ে তিনি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে একটি আবেদন করেছেন বলে জানান তিনি। এই গাছের বাজার মূল্য এলাকাবাসী দিলে তিনি গাছ কাটবেন না বলে জানান ঠিকাদার বকুল।