নিজস্ব প্রতিবেদক: গোদাগাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে গভীর নলকুপের ট্রান্সফরমার চুরি উদ্বেগ হারে বেড়ে গেছে। বিশেষ করে মাত্র কয়েকদিনের ব্যাবধানে গোদাগাড়ীর রিশিকুল ইউনিয়ন এলাকায় প্রায় ১০টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে গেছে। এই চুরি রোধ করতে করণীয় বিষয় নিয়ে রিশিকুল ইউনিয় পরিষদে আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গভীর নলকুপ অপারেটরদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রিশিকুল ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান, কাঁকনহাট পল্লিবিদ্যুতের ডিজিএম জিয়াউল হক, জুনিয়র প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম, কাঁকনহাট বিএমডিএ এর উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল খালেক ও গোদাগাড়ী-২ এর প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মাহবুব হোসেন।
অতিথিবৃন্দ সভায় উপস্থিত নলকুপ অপারেটরদের অভিযোগ ও পরামর্শ শোনেন। এ সময়ে তারা বলেন, গভীর নলকুপ পরিচালনা ও পাহারা দেয়ার জন্য অপারেটর ও পাহাদার রাখা হয়েছে। অপারেটরদের একটি নির্দিষ্ট কমিশন এবং পাহাদারদের নির্দিষ্ট পরিমানে বছরে একবার ফসল দেয়া হয়। কিন্তু কোন অপারেটর পাহাদার রাখেন না। তারা নিজেরাই দুইটি অর্থ একাই ভোগ করেন। এটা করেও তারা নলকুপ পাহারা দেন না। এজন্য প্রায় ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটছে বলে জানান তারা।
অতিথিবৃন্দ আরো বলেন, যেহেতু ট্রান্সফরমার ও গভীর নলকুপ অপারেটর পাহারা দেন, সেহেতু কোন কিছু হারিয়ে গেলে এর দায়িত্ব অপারেটর কিংবা পাহাড়ার থাকলে তাকেই বহন করতে হবে। এখানে কোন প্রকার বিকল্প ব্যবস্থা নাই। আর এবিষয়ে গভীর নলকুপ পরিচালনা পর্ষদ ব্যবস্থা নিতে পারবেন বলে জানান তারা। এছাড়াও সম্পদ রক্ষায় কৃষকদের কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন তারা। সেইসাথে হারিয়ে যাওয়া ট্রান্সফরমার খুঁজতে ইতোমধ্যে পুলিশ মাঠে নেমেছে বলে জানান কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান।