নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পবা উপজেলা দামকুড়া থানার সামনে মধুপুর বটতলা নামে পরিচিত শতবর্ষী পাইকোড় গাছ কাটার পাঁয়তারা করছে এক ঠিকাদার। গাছটি রাজশাহী জেলা পরিষদের হওয়ায় জেলা পরিষদ এটা টেন্ডার দিয়েছে বলে জানা গেছে। এই গাছ রক্ষায় পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি আবেদন জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রদান করেছেন। সেখানে শতাধিক ব্যক্তি স্বাক্ষর করেছেন।
এছাড়াও আজ বুধবার সকার ১০টায় মধুপুর বটতলা (পাইকোড়) দামকুড়া থানার মোড়ে গাছটি রক্ষায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সামবেশ করেছে। এসময় রাস্তা কাশিয়াডাঙ্গা হতে কাঁকনহাট রাস্তা অবরোধ করেন। এতে উভয়ে পার্শে বিশাল যানজোটের সৃষ্টি হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সমসের আলী, জয়েন উদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, সাগর আহম্মেদ, বাদশা আলী, শাহিন আলী, আজাদ রহমান ও ইনসান আলীসহ প্রায় দুইশতাধিক এলাকাবাসী।
মানববন্ধন থেকে এলাকাবাসী বলেন, এই গাছটি বয়স একশ বছরের অধিক হয়েছে। এই গাছের নিচে শত শত মানুষ বিশ্রাম করে। শান্তির নিশ্বাস নেয়। এছাড়াও হাজার হাজার পাখি এই গাছে বসবাস করে। এই গাছটি কেটে ফেললে একদিকে যেমন জনগণের বিশ্রামের স্থান নষ্ট হবে। তেমনি পাখি হারাবে তাদের নিবাস। এলাকাবাসী এই গাছ না কাটতে দেয়ার জন্য প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
গাছ রক্ষা ািবষয়ে জানতে চাইলে পবা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তফিকুল ইাসলাম বলেন, এই গাছ তারা বাবা দাদার আমল থেকে দেখে আসছেন। এখানে অনেক পথচারী গরমে এবং বৃষ্টিতে আশ্রয় নেয়। সেইসাথে অনেক পাখি এই গাছে বসবাস করে। এছাড়াও এই গ্রাম ও মোড়ের পরিচিতি এই গাছ। কোনভাবেই এই গাছ কর্তন দেয়া হবেনা বলে জানান তিনি।
এদিকে দামকুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন। একদিন কাটতে এসেছিলো। কিন্তু এলাকাবাসী তাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন। তবে আজকে গাছ রক্ষায় এখানে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেছে বল জানান তিনি।
ঠিকাদার মেসার্স বকুল এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী বকুল হোসেন বলেন, তিনি জেলা পরিষদ থেকে টেন্ডারে মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে কাশিডাঙ্গা হতে কাঁকনহাটের তিলাহারী পর্যন্ত মোট ১৯টি গাছ দুই লক্ষ ঊনআশি হাজার পাঁচশত টাকা দিয়ে নিয়েছেন। তিনি সব টাকা পরিশোধ করেছেন। করোনার কারনে তিনি গাছ কাটতে যাননি। এখন এই গাছ কাটতে যাওয়ার কথা শুনে এলাকবাসী বাধা দিচ্ছে।
অথচ এই গাছ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে তিনি দাবী করেন। এ বিষয়ে তিনি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে একটি আবেদন করেছেন বলে জানান তিনি। তবে এই গাছের বাজার মূল্য এলাকাবাসী দিলে গাছ কাটবেন না বলে জানান ঠিকাদার বকুল।