নিজস্ব প্রতিবেদক: চৌদ্দ দিনের মত রাজশাহীতে চলছে কঠোর লকডাউন। এই লকডাউনে খেটে খাওয়া মানুষগুলো চরমভাবে আর্থিক সংকটে পড়েছে। কর্ম না থাকায় উপার্জন নাই বললেই চলে। এ অবস্থায় সংসার পরিচলনা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কিন্তু করোনা সংক্রমনের হার না কমায় ও মৃত্যুর মিছিল প্রতিদিনি প্রায় একই প্রকার থাকায় এবং ভারতীয় ডেল্টা ভেরিয়েন্ট দেখা দেয়ায় জনগণের প্রাণ রক্ষাতে রাজশাহীতে তৃতীয় দফায় প্রশাসন লকডাউন ঘোষনা করেছে।
এই পরিস্থিতিতে যারা খাদ্য সংকটে ভুগছেন তারা ৩৩৩ নম্বরে কল করলে খাবার বা নগদ টাকা পৌঁছে দেবে স্থানীয় প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে লকডাউনের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমনটাই বলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল।
তিনি বলেন, কর্মহীন খেটে খাওয়া মানুষের কথা চিন্তা করে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অবহ্যত রয়েছে। এর বাইরেও নগর আওয়ামী লীগ ও সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছেন তারা। এ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে। কোন মানুষ খাবারের অভাবে না খেয়ে থাকবেনা।
তবে প্রথম দিকের লকডাউন অত্যন্ত ভালো ছিলো। এখনো সে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। লকডাউন সফল করতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। সেইসাথে সকলকে স্বাস্থাবিধি মেনে বিনা প্রয়োজনে বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ জানান। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শরিফুল হক, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ও এডিএম আবু আসলামসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে সর্বাত্মক লকডাউন। চলবে আগামী ৩০ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত। বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল সংবাদ সম্মেলন করে লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণা দেন।
সেইসাথে সিটি করপোরেশন এলাকায় লকডাউনের পাশাপাশি উপজেলা এলাকায় বিধিনিষেধ বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত হয়। মানুষ যেন অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া জণগণ সিটি ভিতরে আসতে এবং যেতে না পারে। বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, লকডাউনে সকল ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিংমহল, মার্কেট, দোকান, রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে। তবে ওষধ, কাঁচাবাজার, চিকিৎসা সেবা লকডাউনের আওতা মুক্ত থাকবে। এছাড়াও লকডাউনের সময় বাস, ট্রেনসহ কোন প্রকার যানবাহন রাজশাহী নগরে প্রবেশ করতে পারবে না এবং রাজশাহী মহানগর হতে বাইরে যেতে পারবে না। তবে আমসহ কৃষি ও খাদ্য সামগ্রীবাহী পরিবহন চলাচল করবে। জনসমাবেশ হয় এমন সব ধরণের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।