আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের বহুল পরিচিত প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের তৈরি করা একটি ক্লাউড সিস্টেমের ভুল ধরে ২২ লক্ষ রূপি পেলেন অদিতি সিং নামের এক তরুণী। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫ লাখ টাকা। ২০ বছর বয়সী এই তরুণী একজন এথিক্যাল হ্যাকার। কয়েক মাস আগেই সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কিছু ত্রুটি শনাক্ত করে উপহার পেয়েছিলেন ৭ হাজার ৫০০ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ছয় লাখ টাকারও বেশি।
অদিতি মাস দুয়েক আগে মাইক্রোসফটের তৈরি নতুন অ্যাজিউর ক্লাউড সিস্টেমের ত্রুটি ধরেন। এরপর বিষয়টি সংস্থাটিকে জানান। এতে মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে অদিতির শনাক্ত করা ত্রুটিগুলো ফের চেক করা হয়। তবে তাৎক্ষণিক সংস্থাটি তাদের ত্রুটি ঠিক করে নেয়নি। কেননা, ওই সিস্টেমের অসুরক্ষিত ভার্সনটি কেউ ডাউনলোড করছে কিনা তা দেখছিল মাইক্রোসফট। এরপর সংস্থাটি তাদের ত্রুটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কার হিসেবে ৩০ হাজার ডলার দেয় অদিতিকে।
অদিতির ভাষ্যমতে, মাইক্রোসফট ও ফেসবুক দুটি সংস্থারই রিমোট কোড এক্সিকিউশন (RCE) ত্রুটি ছিল। এমন ত্রুটি থাকলে হ্যাকাররা খুব সহজেই সংস্থার নিজস্ব অভ্যন্তরীণ সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারে। এছাড়া সংস্থার সকল তথ্য নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে।
অদিতি সিং ভারতের দিল্লিতে বেড়ে উঠেছে। সে এসব বড় বড় সংস্থার ভুল ধরে মোটা অংকের টাকা পেয়ে খুবই খুশি। গত দু’বছর ধরে এথিক্যাল হ্যাকিংয়ের জগতে এসেছেন তিনি। প্রথমে প্রতিবেশির ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড হ্যাক করে এ কাজের হাতেখড়ি। তখন তিনি ডাক্তারি পড়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন।
ডাক্তারিতে সুযোগ না পেয়ে তার নতুন ভালোলাগা জন্ম নেয় হ্যাকিংয়ের উপর। এরপর বিশ্ব পরিচিত ফেসবুক, টিকটক, মাইক্রোসফট, মোজিলা, পেটিএম, এইচপি-র মতো প্রায় ৪০টি সংস্থার ত্রুটি ধরে। আর এভাবেই হ্যাকিংয়ে ঝুঁকে পড়েন তিনি। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন