নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীর প্রবেশ পথ কাঁখাখালী পৌরসভা। এই পৌরসভার দেওয়ানপাড়া থেকে ফুলতলা ঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘদিন থেকে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে আছে। দেখে বোঝার উপায় এটা মাটির না কার্পেটিং রাস্তা। রাস্তার বেশীরভাগ কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দির্ঘদিন থেকে এই অবস্থা হয়ে থাকলেও দেখার কেউ নাই।
রাস্তা দিয়ে চলাচলকারীরা বলেন, এই রাস্তা দিয়ে সারা বছর বালুর ট্রাক চলাচল করে। এর ফলে রাস্তার এই অবস্থা। প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা বালুর ঘাট থেকে মেয়র পেলেও এই রাস্তা তিনি সংস্কার করেন না। আবার বলতে গেলেও হয়রানী হতে হয় বলে অভিযোগ করেন তারা।
শ্যামপুর এলাকার ইয়ানুস আলী ও মসজিদের ইমামসহ উপস্থিত অন্যান্যরা বলেন, প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে এই রাস্তা সংস্কার করা হয়। এর পরে আর কোন প্রকার সংস্কার করা হয়নি। বৃষ্টি হলে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। কাঁদা ও পানিতে ভরে থাকে। তারা বলেন, প্রতিদিন প্রায় ২৪টির অধিক ট্রাক এই রাস্তা দিয়ে বালু নিয়ে যাতায়াত করে। এরফলে শুকনা মৌসুমে ধুলাতে বাজার ও পাড়ায় বসবাস এবং ব্যবসা করা অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
এই ধুলাবালির কারনে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশী সমস্যায় পরছে। শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। এছাড়াও যাদের রাস্তার ধারে বাড়ি তাদের বাড়ি সার্বক্ষণিক ধুলায় ভরে থাকে। শুধু তাই নয় কেউ অসুস্থ হলেও রাস্তা দিয়ে যেতে অসেক কষ্ট হয়। আর গর্ভবর্তী মায়েদের নিতে যাওয়াটা আরো বেশী কষ্ট বলে জানান তারা। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে রাস্তাটি নতুনভাবে মজবুত করে কার্পেটিং করা প্রয়োজন বলে জানান তারা। এই রাস্তা ও রাস্তা সংলগ্ন জনগণকে নিরাপদে চলাচল ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কবল থেকে রক্ষা করতে বালু পাইপের মাধ্যমে প্রধান সড়কের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে রাখার দাবী জানান তারাসহ উপস্থিত এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে জানতে কাঁটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে মোবাইলে কল করলে তিনি রিসিভ না করে কেটে দেয়ায় এবং রোববার দুপরের দিকে তার অফিসে যেয়ে না পাওয়ায় মেয়রের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।