নিজস্ব প্রতিবেদক: জীবন জীবিকার তাগিদে কাঁচা বাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং ঔষধের দোকান খোলা রাখা হয়েছে। এছাড়াও স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার জন্য সোমবার থেকে টিসিবি মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটা যদি জনগণ অন্যভাবে নেন তাহলে সামনে আরো ভয়াবহ দিন অতিবাহিত করতে হবে। জীবন বাঁচাতে বাহিরে আসলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার এবং টিকা গ্রহন করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সাহেব বাজার এলাকায় লকডাউন পরিদর্শনে যেয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় তিনি এই কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, সরকার, স্থানীয় প্রশাসন করোন প্রতিরোধে নানা ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। সেইসাথে মাস্ক বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে রাজনৈতিক দল, সামাজিক এবং ব্যক্তিদের পাশাপাশি বিভাগীয় কমিশনার অফিস ও জেলা প্রশাসন নানাভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
নির্বাচিত নেতাদের নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁরা কাজ করেন উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, করোনা একটি ভয়াবহ ভাইরাস। এই ভাইরাস মানুষের শরীরকে একেবারে খারাপ করে ফেলে। ফুসফুসকে বিকল করে ফেলে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে নিরাপদে থাকা ছাড়া কোন উপায় নাই। এজন্য অকারনে জনগণকে বাহিরে না আসার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, এখন চোর পুলিশ খেলার সময় নয়। কেউ কারো ক্ষতি করতে পারবেনা। যারা আইনশৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসনের গাড়ি থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন, আবার তারা চলে গেলে আবারও জটলা করছেন তারা নিজের ক্ষতি নিজেই করছেন। শুধু নিজের নয় পরিবারের সদস্যদেরও তারা ক্ষতি করছে।
প্রতিটি বাড়ির সামনে আইনশৃংখলাবাহিনীর সদস্য দেয়া সম্ভব নয়। এখন সময় এসেছে নিজের ভালটা বোঝার। জনগণের উদ্দেশ্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, কোন অবহেলা নয় সরকারী নির্দেশনা মেনে চলুন। নিজে বাঁচুন এবং অন্যকে বাঁচতে সহযোগিতা করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি। পরে তাঁরা তালাইমারী, ভদ্রা, বিন্দুর মোড় ও লক্ষ্মীপুর হয়ে অফিসে ফিরে যান। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, রাজশাহী জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্টেট আবু আসলাম ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কাউসার হামিদসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।