নিজস্ব প্রতিবেদক : সারা দেশের ন্যায় রাজশাহীতে মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এক দিনে আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ্টাজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় মারা যাওয়াদের চারজনের করোনা পজেটিভ ছিল। বাকি ১৫ জন মারা যান করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, নতুন মারা যাওয়াদের মধ্যে ১০ জনই রাজশাহীর। বাকিদের মধ্যে নাটোর ও নওগাঁর দুইজন করে এবং চাঁপাইনবাগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও জয়পুরহাটের একজন করে মারা যান।
তিনি বলেন, মৃতদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। এদের মধ্যে ১১ জনের বয়স ৬১ বছরের উপরে। বাকিদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের একজন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের বয়সের একজন।
শামীম ইয়াজদানী আরো জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৬ জন। একই সময় সুস্থ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৭৩ জন। এ দিন সকাল পর্যন্ত ৪৫৪ বেডের বিপরীতে চিকিৎসাধীন আছেন ৪৮৯ জন। আইউসিইউতে চিকিৎসাধীন ১৯ জন।
তিনি বলেন, রাজশাহীতে দুইদিন বাড়ার পর ফের কমেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার। সোমবার দুইটি ল্যাবে রাজশাহী জেলার ৬৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৯১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। যা আগের দিনের চেয়ে ৫ দশমিক ০৬ শতাংশ কমে করোনা শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ০৩ শতাংশ। আগের দিন রোববার ছিল ৩৪ দশমিক ০৯ শতাংশ।
এদিকে, রাজশাহীতে চলমান কঠোর লকডাউনে আইন-শৃংখলা বাহিনীর কড়াকড়ি অবস্থানের মধ্যেও কিছুটা বেড়েছে মানুষের চলাচল। রাস্তায় দেখা গেছে আগের চেয়ে বেশী ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা। তবে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে কৈফিয়ত দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের।
রাজশাহী জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্টেট আবু আসলাম জানান, কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি রাজশাহীতে ১১ প্লাটুন সেনা, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা মাঠে কাজ করছে। এছাড়াও মাঠে রয়েছে ২২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
তিনি জানান, সোমবার লকডাউনের বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় সোমবার ৮৭ জনের বিরুদ্ধ মামলা দিয়ে ৭৬ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে নগরীতে ২৬ জনের ২৫ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়। বাকিটা উপজেলা পর্যায়ে।
উল্লেখ্য, ঈদের পর থেকে রাজশাহীতে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ১১ জুন থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন। পরে দুদফা বাড়িয়ে তা ৩০ জুন পর্যন্ত