এস.আর.ডেস্ক: : মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আগামী ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে ১ ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে ব্যাংক লেনদেনও। আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হবে। লেনদেন-পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এরআগে গত মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে সরকার কর্তৃক আরোপিত বিধি-নিষেধের মধ্যে ব্যাংকিং কার্যক্রম প্রসঙ্গে’ নতুন এ নির্দেশনা জারি করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, বিধিনিষেধ চলাকালে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে রোববারও ব্যাংক বন্ধ থাকবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে সীমিত সংখ্যক লোকবলের মাধ্যমে ব্যাংক স্বীয় বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক শাখা খোলা রাখতে পারবে।
এদিকে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে চলবে। গ্রাহকদের জরুরি আর্থিক সেবা দিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এছাড়া বিধিনিষেধ চলাকালে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে রবিবারও বন্ধ থাকবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী ৮ জুলাই থেকে পাঁচ লাখ টাকার বেশি অঙ্কের চেক ক্লিয়ারিংয়ের জন্য দুপুর ১২টার মধ্যে পাঠাতে হবে। এসব চেক দুপুর দেড়টার মধ্যে নিষ্পত্তি হবে। আর যেকোনো রেগুলার চেক দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে ক্লিয়ারিং হাউসে পাঠাতে হবে। এসব চেক বিকেল ৩টার মধ্যে নিষ্পত্তি হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের দিনগুলোতে এই সময়ে চেক ক্লিয়ারিং করবে বিএসিএইচ।
এছাড়া আরটিজিএস-এর লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। তবে, কাস্টমস শুল্ক-করাদি, ফি, চার্জ প্রভৃতি পরিশোধ ও আন্তঃব্যাংক লেনদেন আরটিজিএস-এর মাধ্যমে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পরিশোধ করা যাবে।
বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ডস্ ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) সেবা আগের নিয়মেই চলবে।