নিজস্ব প্রতিবেদক: মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে রাজশাহী জেলায় প্রথম পর্যায়ে ৬৯২ টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৮৫৪ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী জেলার জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল গোদাগাড়ী ও পবা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বরুপ আশ্রয় প্রকল্প-২ এর পৃথকভাবে প্রায় ৫০০ টি ঘর পরিদর্শন করেন।
এসময়ে তিনি বলেন, ঘর পেয়ে সবাই খুশি। ঘর প্রাপ্তদের কোন প্রকার সমস্যা নাই। প্রতিটি ঘর সুন্দর আছে। দেশের হয়ত দুই একটি স্থানে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। কিন্তু এটা বড় ধরনের কোন সমস্যা নয়। এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মাটির সমস্যা কারনে হলেও সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছেন। আসলে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমুর্তি নষ্ট করার জন্য একটি কুচক্রি মহল তিলকে তাল করে প্রচার করছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন রাজশাহী অঞ্চলে অতি সতর্ক অবস্থায় প্রতিটি ঘর নির্মান করা হয়েছে। এরপরে যদি কোথাও কোথাও কোন কিছু হয় তাৎক্ষণিক জানানোর জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, রাজশাহীতে আরো অনেক খাস জমি রয়েছে। সেইসব খাস জমি দেখে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। তবে একটি স্থানে একটু বৃষ্টির পানি উঠেছিলো। এখন তা নেমে গেছে।
বিষয়টি হলো ওখানকার বাসিন্দারা অত্র স্থানে প্রায় ত্রিশ বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন। তাদের জায়গার উপরে আরো মাটি তুলে ভরাট করে দিয়ে বাড়ি করা হয়েছে। তবে তিনি আবারও ওখানকার বিসয়টি গুরত্বসহকারের দেখবেন বলে জানান জেলা প্রশাসক। সেইসাথে ঘরপ্রাপ্তদের কারো কুমন্ত্রে বিভ্রান্ত না হয়ে সমস্যা হলে উপজেলা প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসনকে জানানোর পরামর্শ দেন। শেষে প্রধানমন্ত্রীর জন্য সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল।
ঘরপ্রাপ্তদের মধ্যে থেকে বলেন, তারা বৃষ্টি-বাদল ও শীতে অত্যন্ত কষ্ট করতেন। এছাড়াও উচ্ছেদ আতঙ্কে দিনাদিপাত করতেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাদের জমিসহ ঘর দিয়েছেন। এখন তাদের আর সমস্যা নাই। ঘরের সাথে একখন্ড জমি পেয়ে তারা অত্যন্ত খুশি। বংশ পরমপরায় আজীবন এই জমিতে তারা বসবাস করতে পারবেন। ঘর ও জমি দেয়ায় তারা প্রদানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘায়ুূ কামনার জন্য দোয়া করেন তারা।
পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক শাহানা আখতার জাহান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরিফুল হক, পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল আকতার, পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ এহসান উদ্দীন, সহকারী কমিশনার, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিত সরকার ও গোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধাপক মজিবুর রহমানসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।