শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪০ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশী হয়েছে পাট চাষ

  • প্রকাশ সময় রবিবার, ১১ জুলাই, ২০২১
  • ২১৫ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়। কারণ পাটের আঁশের রঙ সোনালি এবং বাংলাদেশের রফতানি আয়ের ২৫ শতাংশ আসে এ থেকে। পাট থেকে বিভিন্ন প্রকার পাটজাত দ্রব্য উৎপাদন হয়ে থাকে। যেমন- সুতা, থলি, চট, দড়ি, সুতলি। পাট দ্বারা বিভিন্ন প্রকার পর্দা, কার্পেট, জায়নামাজ, ত্রিপল, গালিচা, গদি, শিঁকা, আসন, পাটখড়ি, কাগজ, পারটেক্স, হার্ডবোর্ড তৈরি হয়।

পবা, গোদাগাড়ী ও চারঘাট উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গেলে কৃষক কৃষাণীদের পাট নিয়ে বিভিন্ন কর্মকান্ড করতে দেখা যায়। কেউ পাট কাটছেন, আবার কেউ পাট জাগ দিচ্ছেন। আবার কেউ পাট জাগ দেয়ার দেয়ার জন্য ভ্যানে করে নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায় এবারে রাজশাহীতে ১৮০৩৯ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। এবারে লক্ষমাত্রা ছিলো ১৪৯০০ হেক্টর জমিতে। লক্ষমাত্রার চেয়ে ৩১৩৯ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ বেশী হয়েছে। এছাড়া গত বছরের থেকে এবারে পাটের চাষ বেড়েছে। গত বছর ১৪৭৯৬ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছিলো।
এবারে মতিহার থানাতে ৩ হেক্টর, বোয়ালিয়া থানাতে ২ হেক্টর, পবা উপজেলায় ১৮৭০ হেক্টর, মোহনপুরে ৪৪ হেক্টর, বাগমারা উপজেলাতে ১৯৩০ হেক্টর, দূর্গাপুরে ১৫৭০ হেক্টর, পুঠিয়াতে ৩৮৫০ হেক্টর, গোদাগাড়ীতে ১০৭০ হেক্টর ও চারঘাটে ৪০০০ হেক্টর ও বাঘাতে ৩৭০০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। এবারেও তানোর উপজেলায় কোন পাটের চাষ হয়নি বলে জানান তারা।
এ বছরে পাটের চাষ বেশী হওয়ার কারন জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার উম্মে সালমা বলেন, চলতি মৌসুমে আউস ধানের চাষ কম হওয়ায় কৃষকরা পাট চাষ বেশী করেছেন। এছাড়াও কৃষকরা গত বছরের ভাল ফলন পাওয়ায় এবার তারা বেশী করে পাট চাষে ঝুকেছেন বলে জানান তিনি।
কৃষকরা পাট শিল্পকে বাঁচাতে বন্ধকৃত পাটকল পুণরায় চালু এবং বেসরকবারী পর্যায়ে পাটকল স্থাপন করা জরুরী বলে উল্লেখ করেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2021 dailysuprovatrajshahi.com
Developed by: MUN IT-01737779710
Tuhin