নিজস্ব প্রতিবেদক: গোদাগাড়ীতে সরকার কর্তৃক বন্দোবস্তকৃত খাস জমি জোর করে দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বন্দোবস্ত মুলে প্রাপ্ত জমির মালিক গোদাগাড়ীর রিশিকুল ইউনিয়নের চব্বিশনগর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত হিকমত আলীর ছেলে মহাসিন আলী ও তার স্ত্রী রেহেনা বেগম। তিনি বলেন, ২০১১সালে আমার এবং আমার স্ত্রী রেহেনা বেগমের নামে যৌথভাবে ২৫ শতক কৃষি খাস জমি সরকারের পক্ষে গোদাগাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বন্দোবস্ত করেন দেন। যার বন্দোবস্তী মামলা নং-২৬২৪/ ী১১/১০। তারিখ- ৩১-০১-২০১১ ইং। দলিল নং-৯৪০/২০১১ সাল। যাহা ২০১১ সাল হতে ২১১০ সাল পর্যন্ত বলবদ থাকবে বলে দলিলে উল্লেখ রয়েছে।
জমির তফশিল হচ্ছে ক্রমিক নং-০১, খতিয়ান নং-০১, দাগ-নং-৪৩, পরিমান-০.২৫ শতক, রকম-ধানী, মৌজা বৃন্দাবনপুর। এই জমি তিনি এক থেকে দুই বছর চাষাবাদ করেন। জমিটি উঁচু হওয়ায় সেখানে সব ধরনের ফসল করা যায়। জমিটি দেখে দখল করার ষড়যন্ত্রে কাঁকনহাট পৌরসভার তিলাহারী গ্রামের আকবর এক মৌসুমের জন্য গম চাষ করার কথা বলে তার নিকট থেকে জমিটি নেন।
এরমধ্যে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে সে সময়ে তিনি বুঝে উঠতে পারেন নি বলে জানান মহাসিন। সরল বিশ্বাসে আকবরকে জমি চাষ করতে দিয়ে তার নামে বন্দোবস্তকৃত জমি হারিয়ে ফেলেন। আকবর ও তার ভাই দাউদ মিলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তার জমি দখল করে নিয়েছে বলে চোখের পানি মুছতে মুছতে বলেন। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার দেন দরবার করেও তারা জমি ফেরত দেয়নি বলে জানান জমির প্রকৃত মালিক মহাসিন আলী।
আকবরদের বাড়ির নিকট জমিটি হওয়ায় তিনি ভয়ে জমিতে এতোদিন ধরে নামতে পারছেন না। দীর্ঘদিন থেকে জোর করে দখল করে খাচ্ছে তারা। কিছু বলতে গেলে আকবর গংরা মারপিটের হুমকী দেয় বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, এই জমির আইল দিয়ে একুশটি তাল গাছ ছিলো। সব তালগাছ আকবর গংরা বিক্রি করে দিয়েছে।
মহাসিন আরো বলেন, তিনি একজন গরীব, অসহায় ভূমিহীন মানুষ। জমি হারিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অত্যন্ত লাজুক অবস্থায় দিনাদিপাত করছেন। বন্দোবস্তকৃত জমিটি থাকলে তিনি সেখানে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজীসহ অন্যান্য ফসল চাষ করে পরিবারের চাহিদা পুরণসহ বিক্রি করে বাড়তি আয় করে সংসারে কাজে লাগাতে পারতেন। পারিবারিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে জমিটি উদ্ধার করে তাকে পুণরায় দখল দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট সবিনয়ে অনুরোধ করেন জমির মালিক মহাসিন।
এ বিষয়ে দখলদার আকবর বলেন, এই জমিটি ১নং সরকারী খাস খতিয়ানভূক্ত নয়। এটা জমিদারী সম্পত্তি। জমিদার না থাকায় জমিটি কোনভাবে সরকার নিয়ে ভূলবশত: বন্দোবস্ত দিয়ে দেন। পরবর্তীতে ঐ সকল জমি সরকার প্রকৃত মালিকদের ফেরত দেয়ার জন্য প্রজ্ঞাপন জারী করলে প্রকৃত মালিক এসে এই জমি দখল করেন। পরে তার নিকট বিক্রি করেন বলে জানান আকবর। এরপর টাকার প্রয়োজনে তার ভাই দাউদ এর নিকট জমিটি বিক্রি করেছেন বলে উল্লেখ করেন আকবর। দাউদ এর মোবাইল নম্বর না থাকায় তার কোন প্রকার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।