নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও প্রাদুর্ভাবের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় ও দু:স্থ ৬৫০জন মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকালে নগরীর নওদাপাড়া ট্রাক টার্মিনালে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
নগরীর নওপাড়াস্থ্য মেসার্স টাইলস ফ্যাশনের সহযোগিতায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী মেট্রোপলিন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী। মেসার্স টাইলস ফ্যাশনের প্রোপাইটার খাইরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শাহ্ মখ্দুম বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এন্ড ম্যানেজার হেলাল উদ্দিন, শাহ্ মখ্দুম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম সরকার।
এছাড়াও ১৭ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের (পূর্ব) সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার হোসেন ও পশ্চিমের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামানসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও অত্র প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ডাবলু সরকার তার বক্তব্যে বলেন, লকডাউনের ফলে শ্রমজীবী মানুষরা কর্মহীন হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। কিন্তু বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণকে রক্ষা করতেই হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতি করে এই লকডাউন দিচ্ছেন। একটি ভ্যাকসিন ৩০০০টাকা করে ক্রয় করে দেশের মানুষকে বিনামূল্যে প্রদান করছেন। এছাড়াও গরীব অসহায় মানুষ যেন না খেয়ে না থাকে তার জন্য বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন বলে তিনি জানান। এই মহামারী থেকে বাঁচতে টিকা গ্রহন ও সবাইকে মাস্ক পড়ার অনুরোধ করেন এই নেতা।
প্রধান অতিথি বলেন, এই সকল মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করেই, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ মানবিক খাদ্য সহায়তার অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। করোনা ছোঁয়াছে ভয়াবহ একটি ভাইরাস। এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে সরকারী বিধি নিষেধ মেনে চলা এবং সবাইকে বাধ্যতামুলক মাস্ক পরার আহবান জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে খাইরুল ইসলাম বলেন, জ্বর ও সর্দি-কাশি হলে নিকটস্থ হাসপাতালে করোনা টেস্ট করাতে হবে। কারণ করোনা আক্রান্ত রোগীর কোন উপসর্গ ছাড়াই খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ফুসফুস ডেমেজ করে ফেলেছে। ফলে তিনি দ্রুত মারা যাচ্ছেন। লকডাউনের বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনার সবাই সরকারি নির্দেশনা মেনে চলবেন এবং অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করবেন। সরকারের পাশাপাশি লকডাউনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের পাশে দুস্থ মানবতার সেবায় এগিয়ে আসার জন্য তারমত সমাজের সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য ত্রাণ হিসেবে প্রতিটি প্যাকেটে ছিল, চাউল ৫ কেজি, আটা ৩ কেজি, আলু ৩ কেজি, পেঁয়াজ ৫০০ গ্রাম, , সয়াবিন তেল ১ লিটার, মুসরের ডাল ১ কেজি ও লবণ ১ কেজি। হকার, নিরাপত্তা প্রহরী, প্রতিবন্ধী, কর্মজীবী ও বাসা বাড়িতে কাজ করা মহিলাসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের মধ্যে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।