নিজস্ব প্রতিবেদক: কাঁকনহাট পৌর এলাকায় পুকুরে মাছ ছাড়াকে কেন্দ্র করে মারামারি ও পরে পুকুরে বিশ দিয়ে সব মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে কাঁকনহাটের সন্ত্রাসী দরগাপাড়া এলাকার সুজন রাজা। তিনি তার ভাই ও অন্যান্য সন্ত্রাসীদের নিয়ে মারপিট ও পুকুরে বিশ দিয়ে মাছ মেরে ফেলে সকল মাছ রাতে অন্ধকারে তুলে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগকারীগণ কাঁকনহাট দরগাপাড়া এলাকার সিদ্দিক, শিমুল, বকুল, আলতাব, গোলাম রুহুল খোকা, আনারুল, রনি, সুমন, হাসান, রবিউল, বাদল, ডাক্তার বকুল, শফি ও দেলোয়ারসহ আরো অনেকে বলেন, অত্র মহল্লার পাশে সরকারী পুকুরে দীর্ঘদিন থেকে মাছ চাষ করে আসছেন। চলতি সপ্তাহের রোববার তারা অন্যান্য মাছের সাথে নতুন করে ২৫ হাঁড়ি মাছ ছাড়েন।
তারা আরো বলেন, সোমবার আবারও চার হাঁড়ি মাছ ছাড়তে গেলে দরগাপাড়া এলাকার সন্ত্রাসী সুজন রাজা ও তার ভাই সোহাগ এবং আক্কাসসহ আরো অন্যান্য সন্ত্রাসীরা মিলে পুকুরে মাছ ছাড়তে নিষেধ করে এবং অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এসময়ে সুজন গংদের মারপিটে বেশ কয়েকজন আহত হন। কাঁকনহাটেই তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন বলে জানান তারা। তারা বলেন, সুজন রাজা দীর্ঘদিন থেকে কাঁকনহাটে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালয়ে আসছে। সুজন গংদের ভয়ে কেউ মুখ খোলেনা বলে জানান তারা।
এবিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কাঁকনহাট পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবীর ও ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুর রহমান বকুল বলেন, সুজন রাজা বেশ কিছু উঠতি বয়সের ছেলে নিয়ে কাঁকনহাটে চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তাদের অত্যাচারে ব্যবসায়ী থেকে জনগণ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।
তাঁরা আরো বলেন, সোমবার দিবাগত রাতে আবারও অন্যের মাছ ছাড়া পুকুর জবর দখল করার জন্য পুুকরে বিষ দিয়ে সব মাছ মেরে ফেলেছে। শুধু তাইনয় রাতের অন্ধকারে সব মাছ তুলে বিক্রি করে দিয়েছে। বকুল বলেন, প্রায় পৌনে দুই লক্ষ টাকার মাছ সুজন গংরা মেরে ফেলেছে । তাঁরা উভয়ে এই সন্ত্রাসী সুজনসহ এর সঙ্গে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান। এ বিষয়ে কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি অভিযোগ হয়ে বলে বকুল জানান।
এ বিষয়ে সুজনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। তারা কারো পুকুরে মাছ ছাড়তে যায়নি। তিনি বলেন, তার ভাই সোহাগকে বিদিরপুর মৎস্য চাষী সমবায় সমিতি পুকুরটি দেখভাল জন্য দায়িত্ব দিয়েছে। ফলে সোহাগ সেখানে মাছ ছাড়া থেকে খাবার ও পুকুরে পানি দিয়েছেন। তাদের পুকুরে অন্যরা মাছ ছাড়তে আসলে বাধা দিলে তাদের মারপিট করে। বর্তমানে তিনি, তার স্ত্রী, ও বাবা মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান সুজন।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, এটা তেমন বড় কোন ঘটনা নয়। তবে উভয় পক্ষই তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ করেছেন। উভয়কে ডেকে বসে একটি মিমাংশার ব্যবস্থা করা হবে। না হলে আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।