নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশব্যাপি চলছে চৌদ্দ দিনের কঠোর লকডাউন। সরকারী নিষেধাজ্ঞায় রাস্তায় তেমন কেউ বেড় হতে পারছেনা। বন্ধ রয়েছে নিত্য পন্যের দোকান ও জরুরী সেবা যেমন ঔষধ ও অক্সিজেন সেবা ছাড়া সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সেইসাথে রয়েছে খাদ্যপন্যবাহী ও কাঁচা চামড়া বহনকারী যান ছাড়া বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার যানবাহন।
পেটের দায়ে শহরে কেউ কেউ রিক্সা ও অটোরিক্সা বেড় করলেই পড়তে হচ্ছে আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে। সেখানে হতে হচ্ছে লাঞ্ছনার স্বীকার। এমনকি মামলাও হচ্ছে তাদের নামে। আটক করা হচ্ছে তাদের যানবাহন। না হয় চাকা পাম্পচার কিংবা লিক করে দেয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় খেটে খাওয়া এই মানুষগুলো পড়েছে চরম বিপাকে। এর মধ্যে আবার মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটর অথরিটি (এমআরএফ) থেকে সরকারী ছুটি ব্যাতিত সরকারী নির্দেশনা মেনে সিমিত পরিসরে সকাল ৯টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমতি দিয়েছে। এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ।
রিক্সা চালক আমিনুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, আব্দুল খালেক, মোমিন, কলিম ও অটোরিক্সা চালক আব্দুল মালেক, সাজ্জাদ হোসেন, আব্দুল্লাহ ও সলিমসহ অন্যান্যরা বলেন, তারা এনজিও থেকে ঋন নিয়ে রিক্সা ও অটোরিক্সা ক্রয় করেছেন। প্রতি মাসে এর কিস্তি দিতে। এছাড়াও অন্যসব এনজিও থেকেও তাদের ঋন রয়েছে। এগুলো আবার সাপ্তাহিক দিতে হয়। লকডাউনের কারনে তারা একেবারে বেকার হয়ে পড়েছেন।
তারা বলেন, আইনশৃংখলাবাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে রিক্সা ও অটোরিক্সা চালিয়ে যেটুকু অর্থ আয় করে তা দিয়ে পরিবারের সদস্যদের খাবার জুটছেনা। এছাড়াও আবার অনেকের রয়েছে ভাড়া করা যান। মহাজনের টাকা দিয়ে প্রায় না খেয়েই তাদের জীবনধারণ করতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এনজিও অফিস খোলা রাখলেও লকডাউন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঋনের কিস্তি না নেয়ার জন্য দাবী জানান তারা।
এদিকে একই ধরনের কথা জানান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীরা। কারন তাদের অবস্থাও একই রকম। এরমধ্যে লকডাউনে অনেকের কর্ম নাই। কাজ না থাকায় বেতন দিতে না পেরে তাদের ছাটাই করেছে বলে জানান কর্মচারী টুটুল, আপেল, ফয়সাল, গালিব ও শামিউলসহ অন্যান্যরা। এ অবস্থায় এনজিও এর ঋনের কিস্তি দিতে হলে গলাই দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা বলে জানান তারা। তারাও লকডাউন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিস্তি না নেয়ার দাবী জানান।