নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীর পাঠানপাড়া জামে মসজিদে বর্তমান ইমামকে রাখা এবং না রাখা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর এ ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হন। এরমধ্যে ডলার নামে একজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮নং ওয়ার্ডে চিকিৎসারত আছেন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় গতকাল শনিবারও পুলিশ পাহারা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মসজিদ কমিটির সভাপতি আলতাব হোসেনসহ বেশীর ভাগ মুসল্লিরা বর্তমান ইমামকে মসজিদে রাখতে চান। কিন্তু অত্র মসজিদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হাসান কবীর ও তার নামধারী কিছু মুসল্লি মিলে ইমামকে রাখতে চান না। এ নিয়ে শুক্রবার জুমার নামাজের পর মসজিদের ভেতরেই প্রথমে কথাকাটাকাটি শুরু হয়।
এর এক পর্যায়ে শুরু হয় ইট পাটকেল নিক্ষেপ। মসজিদের সামনের রাস্তায় চলা এ সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হলে তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও টহলে থাকা সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ অবস্থায় মসজিদের ইমামকে রাখতে গতকাল শনিবার রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লটন বরাবরে পাঠানপাড়ার প্রায় সাড়ে তিনশ মুসল্লি স্বাক্ষরীত একটি আবেদন দিয়েছেন। সেখানে তারা উল্লেখ করেন পাঠানপাড়া ছোট মসজিদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হাসান কবীর একজন অর্থশালী ব্যক্তি হওয়ায় মসজিদের উন্নয়নের স্বার্থে তাঁকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কিন্তু তিনি মসজিদে ঠিকমত চাঁদা দেন না। মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিন ও খাদেমের সম্মানী ভাতা এলাকার মুসল্লিরা দিয়ে থাকেন। বর্তমানে সাধারণ সম্পাদক মসজিদে কোন প্রকার অর্থ দেন না।
এই সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হাসান কবীর ষড়যন্ত্র করে প্রশাসসকে দিয়ে মসজিদের তদন্ত করাচ্ছেন এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে মসজিদের ইমামকে লঞ্ছিত করে মসজিদ থেকে বের করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু অত্র এলাকার সর্বাধিক মুসল্লি এই ইমামকে চান।
গুটি কয়েক মুসল্লি তার প্ররোচণায় ইমামের ভূলত্রুটি ধরা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। ইমাম এজকন ভাল মানুষ। এভাবে তাঁকে লাঞ্চিত করে মসজিদ থেকে বের করতে না দেয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে মুসল্লিদের স্বার্থে বর্তমান ইমামকে মসজিদে রাখতে সহযোগিতা করার জন্য মেয়রকে অনুরোধ করেন আবেদনের মাধ্যমে।