নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় রাজশাহীতে দীর্ঘদিন থেকে চলছে সরকার ঘোষিত লকডাউন ও কঠোর লকডাউন। এরফলে নিত্যপন্য দ্রব্যের দোকান, পন্যবাহী যানবাহন, জরুরী সেবা ও কাঁচাবাজার ছাড়া বন্ধ রয়েছে সকল কিছু। এ অবস্থায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে অসহায় জীবন যাপন করছে। এক বেলা খেলে আরেক বেলা না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে কিছুটা উত্তোরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শে ও তাঁর পক্ষ থেকে অসহায় ও দু:স্থদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান করা অব্যাহত রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার(৪আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেড রাজশাহীর সহযোগিতায় দু:স্থ ও অসহায় তিনশ জনকে দুই হাজার টাকা মোট চয় লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ডক্টর হুমায়ন কবীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই টাকা প্রদান করেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, সরকার কর্মহীন মানুষদের কথা সর্বদা চিন্তা করেন। এজন্য তিনি সর্বদা খাদ্য সামগ্রী ও অর্থ বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। যতদিন এই অবস্থা চলামান থাকবে ততদিন সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র দেশ, যে চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে একযোগে করোনার টিকা সংগ্রহ করছে। সরকার জনগণকে বাঁচানোর জন্য চলতি মাসের সাত তারিখ থেকে গণটিকা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে।
প্রতিটি ওযার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে এই টিকা দেয়া শুরুর লক্ষে ইতোমধ্যে নিবন্ধনের কাজ চলমান রয়েছে। করোনা থেকে নিজেকে, পরিবারের সদস্য ও তথা দেশকে রক্ষা করতে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী সকলকে টিকা নেয়ার অনুরোধ করেন। সেইসাথে সরকারী নিদের্শনা মেন চলা এবং বাড়ির বাহিরে আসলে অবশ্যই মাস্ক পরার আহবান জানান বিভাগীয় কমিশনার। এই কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য সোনালী ব্যাংকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এছাড়াও আগামী দশ তারিখ পর্যন্ত সকল নির্দেশনা মেনে চলার জন্য উপস্থিত সকলের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনালী ব্যাংক লিমিটেড রাজশাহীর ডিজিএম সাহাদত হোসেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) মহাম্মদ শরিফুল হক এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নজরুল ইসলাম, জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আবু আসলাম ও ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আমিনুল হকসহ জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।