নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদিন রাত ছুটে চলা মোটর শ্রমিকরা চলমান কঠোর লকডাউনে এখন ঘরবন্দী। এই সকল শ্রমজীবী মানুষের বিকল্প কোন আয়ের উৎস নেই। পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা অতি কষ্টে জীবন অতিবাহিত করছে। তাদের ঘরে নেই পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী। এই সংকটে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গরীব, অসহায়, ছিন্নমূল, দিনমুজুর ও কর্মহীন মানুষদের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক করোনা ভাইরাস শুরু থেকেই ব্যক্তিগত ভাবে যেভাবে পারছেন নগরীতে বসবাসরত অসহায়, দিনমুজুর ও কর্মহীন মানুষদের সহযোগীতা করে আসছেন বলে বক্তব্যে উল্লেখ্য করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর কুমারপাড়াস্থ সরকার টাওয়ারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যৈষ্ঠ পুত্র ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বড় ভাই বিশিষ্ঠ ক্রীড়া সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে দুই শতাধীক মোটর শ্রমিকদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে এসব কথা বলেন ডাবলু সরকার। শেখ কামালের স্মৃতি চারণ করে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে নিহত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামাল।
শেখ কামাল ছিলেন একজন বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শেখ কামালের সাহসী রাজনৈতিক ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, রাজনীতির ক্ষেত্রে শেখ কামাল সাহসী ভূমিকা রেখেছেন। শুধু তাই নয়, ছয় দফা দেওয়ার পর থেকে যে আন্দোলন সংগ্রাম শুরু হয় এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় যখন জাতির পিতাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়, তারপরে দেশে যেভাবে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল, প্রতিটি সংগ্রামে শেখ কামালের অনবদ্য ভূমিকা ছিলো। তিনি শেখ কামালের শহীদি আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
করোনা সতর্কতায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রত্যেক শ্রমিককে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি লবন ও ৫০০ গ্রাম তেল দেয়া হয়। এসময় মোটর শ্রমিকেরা খাদ্য সামগ্রী পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বদরুজ্জামান খায়ের, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, উপ-দপ্তর সম্পাদক, পঙ্কজ দে, সদস্য ও ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন খান, সদস্য ও ১৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মনতাজ আহম্মেদ, সদস্য ও ২১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপন্ন কুমার সরকার ও আওয়ামী লীগ নেতা গৌতম দাসসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।