এস.আর.ডেস্ক: ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণি ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ চারজনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাত ৮ টা ২৫ মিনিটে পরীমণি, নজরুল ইসলাম রাজ ও তার দুই সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপু ও সবুজ আলীকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
বনানী থানার মাদক মামলায় পরীমনিও রাজসহ চারজনের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আদালত প্রাঙ্গণে পরীমণিকে বেশ হাসিখুশি দেখা যায়। এদিকে আদালত প্রাঙ্গণে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
আদালতে পরীমণিসহ চারজনকে কাঠগড়ায় ঘিরে রাখে কমপক্ষে ৩০ পুলিশ কর্মকর্তা। কাঠগড়ায় উঠেই পরীমণি কথা বলার সুযোগ দাবি করেন।
এসময় দুই পক্ষের আইনজীবীদের বিরোধের কারণে বিচারক ৮টা ৩৫ মিনিটে এজলাস থেকে বেরিয়ে যান। পরে ৮টা ৫৩ মিনিটে ফেরত এসে রিমান্ডের শুনানি শুরু করেন। কে আসামিপক্ষের আইনজীবী হবেন তা নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয় বলে জানা গেছে। শুনানি চলাকালে তিনি মাথায় হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় বনানীর বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। রাত আটটার পরে তাকে বাসা থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় পরীর সঙ্গে আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে।
পরীমণির বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার এক প্রেসব্রিফিংয়ে র্যাব জানায়, পরীমণির বাসায় একটা মিনি বার ছিল। তার বাসায় নিয়মিত পার্টি হতো। সেই পার্টিতে মদসহ সব ধরনের মাদক সাপ্লাই দিতো নজরুল ইসলাম রাজ।
রাজের নেতৃত্বে একটা সিন্ডিকেট ছিল, যাদের কাজই হলো উঠতি বয়সী তরুণীদের দিয়ে নানারকম অপকর্ম করানো। মঙ্গলবার মিশুক ও জিসানকে গ্রেফতারের পর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরীমণি ও রাজের বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পরীমনি ও রাজসহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।