নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেষ্ঠ্য পুত্র বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামাল এর ৭২তম জন্মবার্ষিকী আজ। উপলক্ষে আজ বৃহষ্পতিবার সকাল ১১টায় কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
সভায় মেয়র বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেষ্ঠ্য পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামাল একজন মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। ছিলেন একজন আদর্শিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। রাজনীতি ছাড়াও তিনি সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেও বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যখন বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো তখন শেখ কামাল মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য প্রতিভা প্রদর্শন করেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি ঘাতকের কাছে সপরিবারে নিহত হন।
দেশরত্ন শেখ হাসিনার বক্তব্যের একটি প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যকান্ডের বিচারের যে রায় হয়েছে তা কার্যকর করার জন্য দাবী জানাচ্ছি এবং এই হত্যকান্ডের নেপথ্যে আন্তর্জাতিক যে শক্তি কাজ করেছে তা অবিলম্বে চিহ্নিত করে বিচারের দাবী জানানো উচিত, শুধু এই কাজটি বাকি থেকে গেছে।
ডাবলু সরকার বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামাল ছিলেন একজন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শেখ কামাল রাজনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার করা হলে সে সময় শেখ কামাল অনবদ্য ভূমিকা রেখেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাঁদের নাম বাংলাদেশের মানচিত্রের স্বর্ণাক্ষরে লেখা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেনী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডাক্তার তবিবুর রহমান শেখ, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন, কৃষি সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু।
প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, আইন সম্পাদক এ্যাডভোকেট মুসাব্বিরুল ইসলাম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডাক্তার ফ ম আ জাহিদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, সদস্য শাহাব উদ্দিন, আতিকুর রহমান কালু, হাফিজুর রহমান বাবু, এ্যাডভোকেট. রাশেদ-উন-নবী, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন।
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মালিহা জামান মালা, ইপফাত আরা কামাল, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতুল্লাহ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সাকের হোসেন বাবু, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, নগর মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার সিরাজুম মুবিন সবুজ, নগর সৈনিক লীগের আহ্বায়ক সুমন চৌধুরী ও যুগ্ম আহ্বায়ক আইয়ুব আলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।