এস আর ডেস্ক : তেল-মসলাজাতীয়, ভাজা পোড়া ও ফাস্ট ফুড খাবার ছেড়ে দেয়ার পরও অনেকের অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়ে যায়। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম ও খাদ্য তালিকা নিয়ন্ত্রণে আনার পরও অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে ভোগান্তির শেষ থাকে না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া কিন্তু খুব কঠিন বিষয় না।
অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অবশ্যই সবার আগে ধূমপান ছাড়তে হবে। ধূমপানের ফলে শরীরে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বেড়ে যায় বলে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করছেন চিকিৎসকরা। অ্যাসিড রিফ্লাক্সের জন্য পেট থেকে অ্যাসিড খাদ্যনালীর মধ্য দিয়ে উপরে উঠে এসে ইসোফেগাসে পৌঁছায়। এতে গলা ও বুক জ্বালা করে।
ধূমপানের ফলে এসোফেগাস খাদ্যনালীর মাংসপেশিগুলি রিল্যাক্সড হয়। নিকোটিন শরীরের সকল পেশিকে রিল্যাক্স করে। খাদ্যনালীর প্রধান কাজ খাদ্যকে পেটে নেয়া এবং পেটের অ্যাসিড ঠিক জায়গায় রাখা। আর নিকোটিন প্রবেশের কারণে খাদ্যনালীর পেশি রিল্যাক্সড হয়ে পেটের অ্যাসিড সহজেই উপরে উঠে আসে।
ধূমপান করলে মুখের লালারস হ্রাস পায়। লালারসে বাইকার্বোনেট পাওয়া যায়। এটি অ্যাসিড দূর করতে সহায়তা করে। অ্যাসিড রিফ্লাক্সের জন্য যে অ্যাসিড শরীরের উপরের দিকে উঠে আসে, ঢোক গেলার সময় তা অনেকটা লালারস কমিয়ে দেয়। যারা নিয়মিত ধূমপান করেন তাদের লালারস খুবই কম উৎপাদন হয়। এ জন্য তাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়ে থাকে।
ধূমপানের জন্য পেটে অধিক পরিমাণে অ্যাসিড তৈরি হয়। সেই অ্যাসিড অনেক গাঢ়ও হয়ে থাকে। অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি হলে সহজেই খাদ্যনালী দিয়ে উপরের দিকে চলে আসার সম্ভাবনা থাকে তা। সূত্র : আনন্দবাজার