নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘদিন থেকে সারাদেশে চলছে লকডাউন, আবার কখনো কখনো কঠোর লকডাউন। এভাবেই চলছে প্রায় দেড় বছর। ফলে অনেকে হারিয়েছেন চাকরী ও কর্ম। লকডাউনে ঘরের বাহিরে না আসতে পেরে অনেক পেশার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তবে সরকার আগামী কাল বুধবার থেকে কঠোর লকডাউন শিথিল করেছে। এ নিয়ে দিয়েছে প্রজ্ঞাপন। এরফলে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন, ব্যাংক-বিমা, শপিংমল ও দোকানপাট খুলে যাবে।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেড রাজশাহীর সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে করোনায় কর্মহীন দু:স্থ ও অসহায়দের মধ্যে নগদ অর্থ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল এই কথাগুলো বলেন। আর লকডাউন শিথিলের সুবিধা নিয়ে বিনা প্রয়োজনে চায়ের দোকানসহ অন্যান্য স্থানে আড্ডা না দেয়ার জন্য জনগণের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, সরকার জনগনের বর্তমান খারাপ অবস্থা দেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারন দীর্ঘদিন লকডাউন থাকাতে মানুষের আয়ের উৎস কমে গেছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিপাকে পড়ে গেছেন। অর্থনীতির চাকা অনেকাংশে থমকে গেছে। আর অর্থনীতির চাকা থেমে যাওয়া মানে দেশের অপুর্নীয় ক্ষতি হওয়া। কারন বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে দেখা দিয়েছে। এভাবে প্রতিনিয়ত লকডাউন চলতে থাকলে মানুষ আবার দরিদ্রের দিকে ধাপিত হবে। ফলে দেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন লকডাউন শিথিল নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কিছুই নাই। পুরো বিষয়টি আইনশৃংখলা বাহিনীর নজরে থাকবে। সামজিক দুরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরিধান করা এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং করোনা থেকে বাঁচতে উপস্থিত জনগণসহ সকলকে ধুমপান ছেড়ে দেয়া এবং সরকারী নিদের্শনা মেনে চলার আহবান জানান তিনি।
এছাড়াও এই মহতী কার্যক্রমে জেলা প্রশাসন তথা সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য সোনালী ব্যাংক লিমিটেডকে ধন্যবাদ জানান। সেইসাথে জনগণের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য এনসিসি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক ও জমুনা ব্যাংকেও ধন্যবাদ জানান তিনি। এই দুর্যোগ মুহুর্তে অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সমাজের বিত্তবানদের অসহায়দের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য আহবান জানান জেলা প্রশাসক। বক্তব্য শেষে উপস্থিত তিনশ জনের মধ্যে ২০০০-/ হাজার টাকা করে মোট ছয় লক্ষ টাকা প্রদান করেন তিনি।
রাজশাহী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শরিফুল হক এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনালী ব্যাংক লিমিটেড রাজশাহীর ডিজিএম সাহাদত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) কল্যাণ চৌধুরী, ও ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আমিনুল হক। এছাড়াও জেলা প্রশাসন ও সোনালী ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।