নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগর দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ হাসান খান চৌধুরী ইতু আজ বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন। তার বিরুদ্ধে স্থানীয়, জাতীয় এবং অনলাইন পোর্টাল এবং পত্রিকায় গত কয়েক দিনে বাংলাদেশ ছাত্র শিবিরের কর্মী হিসেবে চাঁদা প্রদান করছেন বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এর প্রতিবাদে তিনি আজ দুপরের দিকে নগরীর রেলওয়ে ষ্টেশনের একটি হোটেল কনফারেন্স রুমে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সমেয় লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন গত ৭ আগস্ট শনিবার রাতে অনলাইন যুগান্তরে ‘যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রশিবিরকে চাঁদা দেয়ার অভিযোগ’, ৮ আগস্ট দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় ‘২০ বছর ধরে শিািবরকে চাঁদা যুবলীগ নেতার’, ১০ আগস্ট পদ্মাটাইমস ২৪. কম অনলাইনে ‘এখনও ছাত্রশিবিরকে চাঁদা দেন নগর যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক’ এবং মঙ্গলবার দৈনিক অনলাইন ও প্রিন্ট সংস্করনে ‘এখনও দিয়ে চলেছেন চাঁদা ছাত্রশিবিরের কর্মি থেকে নগর যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক’ শিরোনামে তাঁকে জড়িয়ে তার নামে সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি এই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং ঘৃনাভরে প্রত্যাখান করেন।
সংবাদগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে তিনি ছাত্রশিবিরের কর্মি পরিচয়ে ছাত্রশিবির ফান্ডে ২০ বছর ধরে ইয়ানত দিয়ে আসছেন। বিষয়টি হাস্যকর ও শতভাগ মিথ্যা ও বানোয়াট রিপোর্ট। তিনি আরো উল্লেখ করেন ২০০৪ সালে তৎকালীন রাজশাহী ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম বিপুলের হাত ধরে নগরীর ১০নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কর্মি হিসেবে পথ চলা শুরু করেন। সেই সময়ে অত্র ওয়ার্ডে ছাত্রলীগের কোন কমিটি না থাকায় বোয়ালিয়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মির্জা জনির নেতৃত্বে সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয় কর্মি হিসেবে তিনি কাজ করেন। ২০১০-২০১৪ সাল পর্যন্ত রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক ও সাধারণ সম্পাদক মীর তৌহিদুর রহমান কিটুর কমিটিতে উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩-২০১৫ সালে সিপি গ্যাঙ অনলাইন প্লাটফর্ম এর যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ২০১৫-২০১৬ সালে সিলেটে চাকুরীরত অবস্থায় সিলেটে মহানগর যুবলীগের সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অংশ গ্রহন করেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বর্তমানে ২০১৬ সাল হতে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আরো বলেন, তার পিতা ফিরোজ খান চৌধুরী, সিরাজগঞ্জের তারাশ থানার বারুহাস ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। তার চাচা মৃত রাজা খান চৌধুরী, তিনি ২৫ বছর বারুহাস ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তার চাচাতো ভাই শাহ্ আলম খান চৌধুরী ক্যার্লিফনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। এমনকি তার বোনকেও বিয়ে দিয়েছেন আওয়ালী লীগ পরিবারে।
তিনি বলেন, তার প্রানপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও বর্তমান সংগঠন আওয়ামী যুবলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ ও মুখোমুখি দাঁড় করানোর জন্যই একটি স্বার্থান্বেষী ও কুচক্রী মহল এই প্রতিবেদনের পেছনে ইন্ধন যুগিয়েছে। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে তাঁকে সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। যে তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন করা হয়েছে তিনি তা প্রত্যাখান করেন।
প্রতিবেদন মারফত যে তথ্য তিনি পেয়েছেন তাতে তার বাবার নাম নাই, তার স্বাক্ষর নাই এবং ঠিকানা লিচু বাগান উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু তার বাসস্থান হচ্ছে হেমত খাঁ ঘোষপাড়ায়। এতে প্রমানিত হয় যে সেই ব্যক্তি আমি নই। তিনি বলেন, ছাত্রশিবির আন্তর্জাতিকভাবে একটি জঙ্গি সংগঠন। তার পূব পুরুষগণ আওয়ামী লীগ করতেন। এখনও তার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত।
জামায়াত ও বা ছাত্রশিবিরের তারতো দুরের কতা তার পরিবারেও কোন সম্পর্ক নাই বলে তিনি উল্লেখ করেন। আর এই সকল প্রকাশিত রিপোর্ট গুলোর গ্রহনযোগ্য কোন প্রমান না থাকলে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবেদনগুলো প্রত্যাহার করার অনুরোধ করেন তিনি। নতুবা তাঁর সম্মান রক্ষার্তে আদালতের শরনাপন্ন হতে বাধ্য হবেন বলে সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি উল্লেখ করেন।