নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এর উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর ৪৬ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে পালিত হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসনিক ভবন ও হলসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও শোকের প্রতীক পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এরপর সকাল ১০ টায় শোকের প্রতীক কালোব্যাজ ধারণ করা হয়। সকাল সাড়ে ১০ টায় রুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম সেখ এর নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর ম্যুরালে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসিই অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম মন্ডল, পুর কৌশল অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. এন,এইচ,এম কামরুজ্জামান সরকার, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. ইমদাদুল হক, ফলিত বিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. বেল্লাল হোসেন।
রেজিষ্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. সেলিম হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. ফারক হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মিয়া মোহা. জগলুল সাদত, পুরকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. আব্দুল আলীম, জিসিই বিভাগের বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. শামীমুর রহমান, উপ-পরিচালক ছাত্রকল্যাণ মামুনুর রশীদ ও আবু সাঈদ, কর্মকর্তা সমিতির সহ-সভাপতি রোকনুজ্জান, রুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম রহমান নিবিড় ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপু সাবেক সভাপতি রাইসুল ইসলাম রোজ, কর্মচারী সমিতির সভাপতি মহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন শুভসহ বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ, হলসমূহের প্রভোস্টবৃন্দ, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে দিবসটি উপলক্ষে বেলা ১১ টায় বৃক্ষরোপন করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম সেখ। এরপর সাড়ে ১১ টায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এর উদ্যোগে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. রবিউল আওয়াল এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন রুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম সেখ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম সেখ বলেন,“ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলতে চেয়েছিলো। বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে আজ নেই কিন্তু তাঁর উত্তরসূরী দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মাঝে আছেন।
তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে অভূতপূর্ব উন্নতি যাচ্ছেন যা দেখে বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে। এখন সময় এসেছে তরুণ প্রজন্মকে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং সেই কাজটিই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দক্ষতার সাথে করে যাচ্ছেন। এরপর বাদ যোহর রুয়েট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।