নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৫ আগষ্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমাসের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী । বিভিন্ন কর্মসুচির মধ্যে দিয়ে এই দিবসটি যথাযোগ্য মর্যদায় পালন করেছে রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থা । এরই অংশ হিসেবে সকাল ১০ টাই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তোবক অর্পন করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমাসের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে বিকেল ৫ টাই ১ মিনিট নিরাবতা পালন করে বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমসে পদকপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ ও অসছেল ক্রীড়াদিগনকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়।
১০০ জন খেলোয়াড়দের হাতে আর্থিক সহয়তা হিসেবে এক হাজার টাকা করে নগদ অর্থ তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ও রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি আব্দুল জলিল। অনুদান প্রদানের পূর্বে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের ঘরের বাতি ছিলেন। তিনি দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন যার ফল আমরা ভোগ করছি। তিনি দেশ শাসনের এক রছরের মাথায় সংবিধান তৈরী করেছিলেন যা ১৯৭৫ সালের পরবর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে পট পরিবর্তন করে দিয়েছে। তার সংবিধানে ৪ টি অধ্যায় ছিল যার মধ্যে গণতত্র, সামাজিক তন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও শাসনতন্ত্র ।
তিনি শুধু দেশ স্বাধীন করেননি দেশের জন্য পরিবারসহ নিজের জিবনটাও দিযে গেছেন, যা ইতিহাসে বিরল। এমন রাজনীতিবিদ পৃথিবিতে খুঁজলে একটাও পাওয়া জাবেনা। আমাদের কাজ হবে তার অসমাপ্ত কাজগুলি গড়ে তোলা তাহলেই হবে আমাদের সার্থকতা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপ-পুলিশ কমিশনার(বোয়ালিয়া) সাজিদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তি. অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, মহানগর আওযামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতি ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি মাহফুজুল আলম লোটন, রমজান আলী ও সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুন নবী।
বক্তারা বঙ্গন্ধুর স্মৃতি বিজাড়িত কর্মকান্ড তুলে ধরেন। অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে তার পরিবারের জন্য দোয়া পরিচালনা করেন কাদিরগঞ্জ জামে মসজিদের পেশ ইমাম দেলওয়ার হোসেন।