নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী জেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে জেলার বাহাত্তরটি স্বেছাসেবী সংগঠনের মধ্যে ঊনিশ লক্ষ পঁচাত্তর হাজার টাকার অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে রাজশাহী মহানগরের সতেরটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিদের হাতে পাঁচ লক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজার টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ হতে প্রাপ্ত ২০২০-২১ অর্থ বছরের সাধারণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসমুহের মধ্যে মঞ্জুরীকৃত এই চেক রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে হস্তান্তর করেন।
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শাহানা আকতার জাহান, রাজশাহী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক হাসিনা মমতাজ, সাবেক উপপরিচালক ও অনুদান যাচাই বাছাই কমিটির সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক, জাতীয় মহিলা সংঘের চেয়ারম্যান মর্জিনা খাতুন, জেলা ত্রাণ ও পুণর্বাসন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আমিনুল হক, রাজশাহী সমাজসেবার সহকারী পরিচালক বায়েজিদ হোসেন ওয়ারেছী, সমাজসেবা অফিসার ড. হামিদুল ইসলাম ও শহর সমাজসেবা অফিসার আশিকুজ্জামান।
জেলা প্রশাসক বলেন, দীর্ঘ একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে এই অনুদান প্রাপ্যদের চুড়ান্ত করা হয়। প্রাপ্ত এই টাকা সঠিকভাবে ব্যয় করার জন্য সংস্থার প্রতিনিধিদের পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, সরকার সর্বদা জনগণকে সামাজিক নিরাপত্তার মধ্যে রাখছে। কারন একজন ব্যক্তি যদি ট্রেন ভাড়া না দিয়ে চলাচল করে অর্থ বাঁচায়, সে অর্থ পরবর্তীতে তার সংসারে ব্যয় করে।
তিনি বলেন, সরকার সব জানেন প্রকল্প ও অনুদানের টাকা সুম্পূর্ণ সঠিকভাবে ব্যবহার হয়না। কিছু অন্যভাবে ব্যয় হয়। কিন্তু এই টাকা যথারিতি বাজারে আসে এবং অনেক লোক উপকৃত হয়। সেইসাথে সরকারও লাভবান হয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। কারন দেমের একটি মানুষ না খেয়ে থাকলে সরাকারের কষ্ট হয়। অতএব জনগণকে ফাঁকি দিতে যেয়ে নিজেকে ফাঁকিতে না ফেলার জন্য উপস্থিত সংস্থার প্রতিনিধিদের অনুরোধ করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, তিনি জেলার সবাইকে তাঁর কার্যালয়ে ডেকে এই অনুদানের চেক হস্তান্তর করতে পারতেন। এতে শুধু যারা নিতেন তারাই জানতেন। সরকার জনগণের জন্য সর্বদা সহযোগিতা করে যাচ্ছেন তা স্থানীয় পর্যায়ে জনগণ জানতে পারতেন না। জনগণকে জানানো এবং এই অনুদানের অংশিদার হওয়ার জন্য তিনি উপজেলা পর্যায়ের সংস্থা সমুহের চেক উপজেলাতেই বিতরণ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বলেছেন। সেখানে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, শুধিজন এবং উপজেলা পরিষদের অন্যান্য কর্মকর্তাও উপস্থিত থাকবেন বলে জানান জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল। বক্তব্য শেষে উপস্থিত সতের জনের মধ্যে বিভিন্ন অনুদানের চেক বিতরণ করেন তিনি।
জেলার সকল উপজেলা সমুহে নিজ নিজ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সমাজসেবার অফিসারগণ উপস্থিত থেকে আজ এই অনুদানের চেক বিতরণ করেন। এরমধ্যে পুঠিয়ায় পাঁচটি সংস্থার মধ্যে এক লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা, মোহনপুর উপজেলায় এগারটি সংস্থার মধ্যে দুই লক্ষ আশি হাজার টাকা, পবা উপজেলায় দশটি সংস্থার মধ্যে দুই লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার টাকা, তানোর উপজেলা তিনটি সংস্থার মধ্যে আশি হাজার টাকা, গোদাগাড়ী উপজেলার এগারটি সংস্থার মধ্যে তিন লক্ষ দশ হাজার টাকা, বাগমারা উপজেলার দুইটি সংস্থার মধ্যে পঞ্চান্ন হাজার টাকা, চারঘাট উপজেলার দুইটি সংস্থার মধ্যে পঞ্চান্ন হাজার টাকা ও বাঘা উপজেলার তিনটি সংস্থার মধ্যে পঁচাত্তর হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।