নিজস্ব প্রতিবেদক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহন শুরু হয়েছে। চলতি মাসের ২৮ তারিখ রোববার রাজশাহী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে এই সাক্ষ্য গ্রহন শুরু হয়।
আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মত অত্র ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার, গোদাগাড়ীর পালপুর এলাকার সেলিনা পারভীন, মালিগাছার ওমর ফারুক ও মাথা ভাঙ্গার মাসুদ রানাসহ মোট তিন জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন। মামলায় এজাহারভূক্ত আসামীরা সবাই মিলে যুবলীগ নেতা ইসমাইলকে হত্যা করেছেন বলে স্বাক্ষীরা স্বাক্ষ্য প্রদান করেন।
এসময়ে বাদিপক্ষের এ্যাডভোকেট বিশেষ ট্রাইব্যুনালের পিপি এন্তাজুল হক বাবু এবং জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের এপিপি ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এজাজুল হক মানু উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা উভয়ে বলেন, এই মামলার মোট ২৯জন স্বাক্ষী রয়েছে এর মধ্যে আজকে দিয়ে মোট পাঁচজন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন করা হলো। পর্যায়ক্রমে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকী সবার স্বাক্ষ্য গ্রহন করা হবে বলে জানান তাঁরা। স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে রায় তাদের পক্ষে যাবে বলে আশাব্যক্ত করেন আইনজীবিগণ। এ সময়ে আসামী পক্ষের এ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন নির্বাচন কেন্দ্রে যুবলীগ নেতা ইসমাইলকে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। এই হত্যায় তার স্ত্রী বিজলা বেগম বাদী হয়ে বিএনপি-জামায়াতের পঁয়ত্রিশ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।