নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় টায় নগরীর পদ্মার পাড়ে একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার পূর্বে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও ফেস্টুন এবং পায়রা উড়ান নেতৃবৃন্দ। এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সাবকে সভাপতি এ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোাসরন তপু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টু, সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক, জাহান পান্না, রাজশাহী বিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, রাবি অধ্যাপক ড. ফজলুল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার সদস্য ও গোলাম মোস্তফা মামুন।
উপস্থিত ছিলেন জেলা বএিনপি’র সদস্য নজরুল ইসলাম মন্ডল, অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, সৈয়দ মহসিন, ডিএম জিয়াউর রাহমান, , সদর আলী, আলী হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, শাহজাহান আলী, আমিনুল হক মিন্টু, তোফায়েল হোসেন রাজু, রায়হানুল ইসলাম রায়হান, তানজিম তান টুটুল, তোফায়েল হোসেন রাজু শাহজহান, কামরুজ্জামান হেনা, সদস্য জাকীরুল ইসলাম বিকুল, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, বিএনপি নেতা প্রিন্সিপাল বিপ্লব, জেলা কৃষকদলের আহবায়ক আল আমিন সরকার টিটু, সদস্য সচিব নাজমুল হক, গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক প্রফেসর আব্দুল মালেক, সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম শাওয়াল, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম সমাপ্ত।
আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা সেস্বচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান লিটন, , জেলা মহিলা দলের সভাপতি এ্যাডভোকেট সামসাদ বেগম মিতালী, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা বেগম, প্রচার সম্পাদক উম্মে হানি, দপ্তর সম্পাদক রোমেলা হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম টুটুল, সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম কুসুম, যুগ্ম আহবায়ক আরফিন কনক, সাংগঠনিক ফয়সাল সরকার ডিকোসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নের ২৩টি ইউনিটের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত বক্তারা বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। তিনি না জন্মালে বাংলাদেশ নামে কোন দেশ মানচিত্রে আসত না। তিনি যদি বাকশাল রুদ্ধ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না করতেন তাহলে এদেশে আর কোন রাজনৈতিক দল রাজনীতি করতে পারত না। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কারনেই আজ শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েছে। আর বিনা ভোটে প্রধানমন্ত্রী দেশকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। আইন শৃংখলা বাহিনীকে দলীয়করণ করে একতরফা দেশ পরিচালনা করছেন।
এখন আবার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কুৎসা রটনা করছে। সারাক্ষন আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী ও তার এমপি মন্ত্রীরা তাঁকে নিয়ে মিথ্যাচার করছে। পাকিস্তানের দালালে রপান্তিরিত করার ষড়যন্ত্র এবং চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে জিয়ার কবর অপসারনের পাঁয়তারা করছে। বর্তমান এই সরকারের এই হীন ষড়যন্ত্র কোনভাবেই সফল হতে দেয়া হবেনা বলে জানান তারা। তারা আরো বলেন, দেশ এখন কঠিন সংকটের মধ্যে চলছে। এই সংকট থেকে উত্তরন করতে পারে একমাত্র বিএনপি। সে লক্ষে আগামীতে সরকার পতনের আন্দোলনে সবাইকে একতাবদ্ধভাবে রাজপথে থাকার আহবান জানান তারা।
বক্তব্য শেষে বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ তাঁর পরিবারের মৃত সদস্য, সকল মৃত মুসলিম ব্যক্তির আত্মার মাগফেরাত ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।