নিজস্ব প্রতিবেদক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহন গত আগস্ট মাসের ২৮ তারিখ রোববার থেকে রাজশাহী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনের মত অত্র ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার, গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এবং কাজিহাটার ইব্রাহিম, ইসমাইলের ছেলে নাইম আহম্মেদ, বাকী বিল্লাহ ও রবিউল ইসলাম সহ মোট দুইদিনে পাঁচ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন।
সাক্ষীগণ আসামীদেরে বিপক্ষে সাক্ষি দেন। তারা বলেন, দিবালোকে প্রকাশ্যে ভোট চলাকালীন সময়ে শত শত মানুষের সামনে মামলায় এজাহারভূক্ত আসামীরা সবাই মিলে যুবলীগ নেতা ইসমাইলকে হত্যা করেছেন বলে আদালতে সাক্ষি দেন। এ নিয়ে মোট দশ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করলেন বিচারক। আমাহী রোববার আবারও সাক্ষ্যগ্রহন করা হবে জানান ইসমাইলের আইনজী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের পিপি এ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু এবং জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের এপিপি ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এজাজুল হক মানু।
তাঁরা বলেন, মামলা সাক্ষী গ্রহন যে চলছে তাতে খুব দ্রত সময়ের মধ্যে মামলার রায় হবে। আর এই রায়ে বিবাদীপক্ষ তামনে তার মক্কেল সুষ্ঠু বিচার পাবে বলে আশা করেন। তাঁরা উভয়ে আসামীদের সর্বোচ্চ সাজার দাবী জানান। এ সময়ে আসামী পক্ষের এ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন নির্বাচন কেন্দ্রে যুবলীগ নেতা ইসমাইলকে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। এই হত্যায় তার স্ত্রী বিজলা বেগম বাদী হয়ে বিএনপি-জামায়াতের পঁয়ত্রিশ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।