নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের ১৪ তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের উদ্যোগে আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সুলতান আহমেদ রাহীর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব শামসুদ্দিন চৌধুরী সানিনের সঞ্চালনায় নগরীর মালোপাড়াস্থ্য বিএনপি কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক রাসিক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান এবং প্রফেসর ড.মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
আরো উপস্থিত ছিলেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের রাজশাহী বিভাগ সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক সর্দার জহুরুল, মেহেদী হাসান খান, আহসান হাবীব, শাকিলুর রহমান সোহাগ, মাহমুদুল মিঠু, জহিরুল ইসলাম ও আব্দুল লতিব সম্রাট।
এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য ফারুক হোসেন, আবির হাসান হিমেল, আতিক শাহরিয়ার আবির, নাফিউল ইসলাম জীবন, সৌমেন রায়, তুষার শেখ, মোল্লা সানজিদুল ইসলাম সুর্য, তাকবীর আহমেদ ইমন, আবু জুয়েল, রাসেল রানা, মোহায়মিনুল ইসলাম ও বাপ্পী সহ বিভিন্ন হল ও অনুষদের নেতৃবৃন্দ।
উপস্থিত প্রধান অতিথি, প্রধান বক্তা ও বিশেষ অতিথিরা বলেন, ফখরুদ্দিন ও মঈন উদ্দিন আহম্মেদ এর সময়ে তারুন্যের অহংকার, দেশনায়ক তারেক রহমানকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আটক করে নির্মমভাবে নির্যাজন করে। সেইসাথে সাথে তাঁর কমরের হাড় ভেঙ্গে দেয় তৎকালিন সরকার। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে জর্জরিত করে ফেলে। সে সময়ে ছাত্র জনতার আন্দোলনের ফলে ঐ সরকার তারেক রহমানকে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। বের হয়ে তিনি তৎকালিন পিজি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নেন।
কিন্তু সেখানে তাঁর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে বাহিরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এখনও তিনি লন্ডনে চিকিৎসাধীন আছেন। অথচ এই নির্যাতনকারী সরকার বিভিন্ন মিথ্যা মামলা এবং সেইসব মামলায় একতরফা সাজার রায় দিয়ে তাঁকে দেশে আসতে দিচ্ছেনা। কারন তারা বিএনপি ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভয় পায় বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন তারা। তারা আরো বলেন, দেশ বর্তমানে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। নিত্যপন্যের দাম প্রতিদিন বাড়তেই আছে। সেইসাথে করোনা টিকা নিয়ে চলছে ভাওতামী।
তারা আরো বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে মিথ্যার বেসাতি করছে এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী, এমপি ও মন্ত্রী। একজন বীরউত্তমকে এই ধরনের মন্তব্য দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তাঁদের এই ষড়যন্ত্র বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর কেউ মেনে নেবেনা। জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব, কবর এবং লাশ নিয়ে ছিনিবিনি খেললে এর পরিমান ভয়াবহ বলে হুঁশিয়ারী দেন তারা।
বক্তব্য শেষে বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ তাঁর পরিবারের মৃত সদস্য, সকল মৃত মুসলিম ব্যক্তির আত্মার মাগফেরাত ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন রাবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মারুফ হোসেন।