নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে আজ শনিবার নানা কর্মসূচী পালন করা হয়। এর মধ্যে আরএমপি পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় দামকুড়া থানায় নবনির্মিত পুলিশ ব্যারাক উদ্বোধন করেন।
এরপর সকাল ১০টার দিকে পবা উপজেলার চরমাজারদিয়ারে উদ্দেশ্যে তিনি রওয়ানা হন। চরমাজারদিয়ারে পৌঁছে তিনি বিট পুলিশিং সভা করেন এবং ৩০০ জন অসহায় দুস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
চরমাজারদিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দামকুড়া থানার আয়োজনে উভয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, আরএমপি’র নিকট রাজশাহী মহানগর বাসী এবং পার্শবর্তী থানা সমুহের অনেক প্রত্যাশা। সেই প্রত্যাশা পূরণে বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ সম্পূর্ণ ভিন্ন পন্থায় প্রযুক্তি নির্ভর পুলিশি সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তাই আজ রাজশাহী নিরাপদ নগরী হয়েছে। পাশাপাশি নগরবাসীর জন্য আরএমপি বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় জনসাধারণদের সহায়তায় সকলে মিলে আরো ভালো পুলিশিং উপহার দেওয়ার কথাও তিনি ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও তিনি চরমাজারদিয়াড় গ্রামের প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের ব্যবস্থা করবেন বলে গ্রামবাসীকে আশ্বস্ত করেন। উপস্থিত জনগণের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি আরো বলেন, এই এলাকায় মাদকের ছোবল অনেকাংশে কমে এসেছে। এই মাদক থেকে পরিত্রাণ পেতে সন্তানদের লেখাপড়া করানোর পরামর্শ দেন তিনি।
কমিশনার আরো বলেন, চরমাজারদিয়ারে অনেক সমস্যা রয়েছে। যেমন স্কুল থাকলেও শিক্ষকের সংখ্যা কম। আবার কমিউিনিটি ক্লিনিক থাকলেও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই। এছাড়াও এখানে নেই হাইস্কুল। এসব বিষয় নিয়ে তিনি স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি।
অপরাধ করে কেউ পার পাবেনা বলে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এই এলাকায় নজরদারী আরো বৃদ্ধি করা হবে। সেইসাথে এখানকার কৃষকরা যেন নির্বিঘ্নে তাদের উৎপাদিত ফসল শহরে নিয়ে ভাল দামে বিক্রি করতে পারেন তার ব্যবস্থাও তিনি করবেন। সেইসাথে নৌ পুলিশের বিষয়ে তাদের কর্মকর্তার সাথে কথা বলে এর সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে উপস্থিত জনগণকে আশ্বস্ত করেন তিনি।
বক্তব্য শেষে প্রধান অতিথি ৩০০ জন অসহায় দুস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন এবং চরমাজারদিয়াড় মসজিদ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) সুজায়েত ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মজিদ আলী বিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) সাজিদ হোসেন, আরএমপি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমান বজলে রেজবি আল হাসান (মুঞ্জিল) সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।