নিজস্ব প্রতিবেদক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন হত্যা মামলার আজ রোববার মোট তিনজনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করা হয়েছে। সপ্তম দিনে দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার, ময়না প্রতিবেদনকারী ডাক্তার নিশান জামানী রায়হান, তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর আতাউর রহমান ও ইন্সপেক্টর মুক্তার হোসেনের স্বাক্ষ্যগ্রহন করেন। এই স্বাক্ষীরা সবাই তদন্ত করে এবং ময়নাতদন্তে যা পেয়েছেন সেগুলো জবানবন্দীতে তুলে ধরেন। প্রতিজনের স্বাক্ষ্য নিহত ইসমাইলের পক্ষে যায় পারিবারিক সুত্রে জানা যায়।
মোট ২৯ জন মধ্যে আজকে দিয়ে সর্বোমোট ১৭জনের স্বাক্ষী গ্রহন করেন বিচারক। ইসমাইলের আইনজীবি বিশেষ ট্রাইব্যুনালের পিপি এ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু এবং জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের এপিপি ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এজাজুল হক মানু বলেন, মুল স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্যগ্রহন ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। আজ ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার ও মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের স্বাক্ষ্যগ্রহন করা হলো। এরপর দ্রæত সময়ের মধ্যে অন্যান্য স্বাক্ষীদের স্বাক্ষগ্রহন করা হবে। এরপর দ্রæত আর্গুমেন্ট করে বিচারক রায় প্রদান করবেন বলে জানান তাঁরা।
উল্লেখ্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন নির্বাচন কেন্দ্রে যুবলীগ নেতা ইসমাইলকে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। এই হত্যায় তার স্ত্রী বিজলা বেগম বাদী হয়ে বিএনপি-জামায়াতের পঁয়ত্রিশ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আর মামলা স্বাক্ষ্যগ্রহন গত আগস্ট মাসের ২৮ তারিখ হতে রাজশাহী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে শুরু চলমান রয়েছে। কর্মদিবসের প্রায় প্রতিদিন স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্যগ্রহন চলছে।