নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী নগরীর সাধুর মোড় এলাকায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র এবং লোহার রড দিয়ে নিয়ে তিন যুবককে মারপিট করে গুরুতর আহত করেছে সন্ত্রীরা। এলাকাবাসী মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেপিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরমধ্যে সামস আরেফিন দোলন নামে একজনের অবস্থা আশংখ্যাজনক বলে জানা গেছে। এনিয়ে দোলনের ছোটভাই, রাসিক ১৪নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর মরহুম আবু তালহা মিলনের ছেলে সামিউল আরেফিন তোফা বাদি হয়ে আরএমপি বোয়ালিয়া থানায় মামলা করেছেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন শনিবার (১১সেপ্টম্বর) সকালে নগরীর বোয়ালিয়া থানার সাধুরমোড়ে তিনি তাদের মার্কেটের সামনে বসে সিটি কর্পোরেশনের কাজ করা দেখছিলেন। এসময়ে সাধুরমোড় এলাকার ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী আব্দুস সোবহানের ছেলে মানিক (৩০), সুলতানের ছেলে আলামিন (১৯), সোবহানের ছেলে সুলতান (৪৫) ও রতনসহ (৩৫) অজ্ঞাতনামা আরও দুই তিনজন মিলে দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, জিআই পাইপ, হাঁসুয়া ও ধারালো চাকু নিয়ে অতর্কিতভাবে তার উপরে হামলা চালায় এবং আসামী সুলতান চাকু দিয়ে তাকে আঘাত করলে তার হাতের আঙ্গুল কেটে যায়। এ সময় তার পকেট থেকে ৪নং আসামী রতন আট হাজার টাকা বের করে নেয়।
সন্ত্রাসীদের মারপিটে তিনি চিৎকার শুরু করলে তার বড় ভাই শামস আরেফিন দোলন (৩২) ও মার্কেটের কর্মচারী রনি (২৮) বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তার বড় ভাইকে এলোপাতারী লোহার রড ও জিআই পাইপ দিয়ে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর সন্ত্রাসী মানিক, সুলতান ও রতন ধারালো চাকু ও হাঁসুয়া দিয়ে হত্যা করার উদ্দেশ্যে এলোপাতারী আঘাত করতে থাকে।
এ অবস্থায় তাদের মার্কেটের কর্মচারী নজরুল ইসলাস মুক্তা ও রনি এগিয়ে আসলেও তাদেরকেও তারা হাঁসুয়া ও লোহার রড দিয়ে আগাত করে আহত করে। তাদের সবার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল হতে চলে যায় বলে তোফা আরজিতে উল্লেখ করেন।
মামলার বাদি তোফা আরো বলেন, এই সন্ত্রাসীরা অত্র এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা জমি দখল থেকে শুরু করে সকল ধরনের চাঁদাবাজি করে থাকে। এদের পিছনে একটি শক্তিশালী চক্র থাকায় এলাকায় ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারেন বলে জানান তিনি। দোলন বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বলে জানান তোফা।।
ঘটনার পরে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ মুল হোতা সুলতান বাদে বাকী তিনজনকে আটক করেছেন। এনিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নুর ইসলাম বলেন, মামলার ১, ২ ও ৪ নং আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। অপর পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
শনিবার দুপুরে প্রয়াত কাউন্সিলর আবু তালহা মিলনের ছেলে ভুক্তভোগী সামিউল আরেফিন তোফা বাদী হয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় মানিক (৩০), আলামিন(১৯), সোবহান (৪৫) ও রতনসহ (৩৫) ও অজ্ঞাত আরও ২ থেকে ৩ জনের বিরুদ্ধে ১৫৪ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।