নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর কয়েরদাঁড়ায় মারাপিটের ঘটনায় আরএমপি বোয়ালিায় মডেল থানায় মামলা হলেও তিনদিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ। গত ১৪ সেপ্টেম্বরর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ দিকে সামান্য একটি বিষয় নিয়ে মারামারি হয়। সেদিনই ফাউজুলের স্ত্রী সিমলা বোয়ালিয়া মডেল থানায় বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। তিনদিন পার হয়ে গেলেও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পরেছেন বলে জানান মামলার বাদি সিমলা।
সিমলা বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা দিকে মাছমারা জাল কাটা নিয়ে তার স্বামী ফাইজুলের সাথে তাদের পিছনের বাড়ির শুটকার ছেলে শাহিন (৪৫) শাহিনের ছেলে বিশাল এর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এটা নিয়ে ঝগড়া থেমেও যায়। কিন্তু শাহিন ও বিশাল ভাড়া করা আরো তিন থেকে চারজন গুন্ডা বাহিনী নিয়ে এসে ফাইজুল ইসলাম ও তার ভাই রবিকে হত্যার করার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র, ধারালো হাঁসুয়া, কান্তাই, রামদা, চাইনিজ কুড়াল ও জিআই পাইপ নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। সেইসাথে তারা ইট ছুড়তে থাকে বলে জানান সিমলা।
সিমলা আরো বলেন, এসময়ে তাঁর স্বামী বাড়িতে থাকলেও তাকে ঘরের মধ্যে তালা মেরে রাখা হয় এবং দেবর রবি বাহিরে থেকে আসলে তাকেও একই ঘরে বন্দি রাখা হয়। যেন তাদেরকে সন্ত্রাসীরা মারপিট করতে না পারে। কিন্তু শাহিন গংরা তাদেরকে না পেয়ে ঘরের প্লেনসিটের দড়জা এবং কাঁচ ও প্লেসিটের জানালা ভেঙ্গে ফেলে। সেইসাথে তাকে মাটিতে ফেলে বেদম মারপিট করে বলে জানান সিমলা। এসময়ে তাদের চিৎকারে পাশের বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে শাহিন ও বিশাল গংরা পালিয়ে যায়। এ সময়ে তারা ধারালো অস্ত্র উঁচিয়ে তাদের হত্যার হুমকী দিতে দিতে চলে যায় বলে জানান সিমলা।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার স্বাক্ষী রাজু বলেন, সে সময়ে তিনি তার নবনির্মিত বাড়িতেই ছিলেন। ঘটনা তিনি সরাসরি দেখেছেন। শাহিন গংরা পূর্ব থেকেই সন্ত্রাসী বলে জানান তিনি। মামলার অভিযোগে যা লেখা হয়েছে তা সম্পূর্ন সত্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেন রাজু।
ফাইজুলের পাশের বাড়ির মানিকের স্ত্রী শহিদা, আনসার আলীর স্ত্রী নাসরিন, জাকারিয়ার স্ত্রী নিরা, ডাবলুর স্ত্রী রোজিনা রুপুর স্ত্রী রঞ্জুসহ আরো অনেকে বলেন, এই ঘটনার সময় তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। সমস্ত ঘটনা তারা স্বচোক্ষে দেখেছেন। তারা আসামীদের সন্ত্রাসী আক্ষ্যা দিয়ে দ্রæত তাদের আটক করে আইনের আওতায় নেয়ার জন্য আইনশৃৃংখলাবাহিনীর প্রতি অনুরোধ করেন। মামলা করার তিনদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কাউকে আটক করতে না পাড়ায় তারার আতঙ্ককে রয়েছেন বলে জানান তারা।
এবিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন বলেন, মামলা হয়েছে। এখনো কোন আসামীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে দ্রæত আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।