নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘সাবধানে গাড়ি চালান, একটি দূর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সতর্কতার সাথে ব্যবসা পরিচালনার জন্য বন্ধু সুরক্ষা নামে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত রোববার রাতে নগরী নওদাপাড়াস্থ একটি আবাসিক হোটেলের কনফারেন্স রুমে নিটল মটরস্ লিমিটেড এর আয়োজনে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নিটল্স মর্টস এর সি ই ও আহমেদ শওকত হোসেন। সভাপতিত্ব করেন দাদু মটরস্ এর সত্বাধীকারী ও নিটল মটরস্ এর আঞ্চলিক ডিলার রেজাউল কবীর শরীফ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী জেলা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম ও রাজশাহী জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপ এর সভাপতি রবিউল ইসলাম সরদার ও রাজশাহী জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং রাসিক ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাতাব হোসেন চৌধুরী। এছাড়াও নিটল মটরস্ লিমিটেড রাজশাহী অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও নিটল মটরস্ এর গ্রাহকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শুরুতেই নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল মতলুব আহ্মদ ভার্চ্যুয়ালী বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি উপস্থিত ব্যবসায়ীদের শুভেচ্ছা জানান। সেইসাথে সাবধানে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাস্তায় চলার পরামর্শ দেন।
প্রধান অতিথি বলেন, টাটার ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানসহ অন্যান্য যানবাহন বিশ্বের অনেক দেশে চলমান রয়েছে। যারা এই যানবাহন ক্রয় করেছেন তারা নিশ্চিন্তে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। ডিলারগণ সুনামের সহিত ব্যবসা করতে পারছেন। তিনি বলেন, টাটা গাড়ীর সকল প্রকার পার্ট্স সুলভ মুল্যে এবং সহজে পাওয়া যায়। এছাড়াও দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। রাস্তার যে কোন স্থানে গাড়ী নষ্ট হলে ফোন করলেই পাশে থেকে সুদক্ষ মেকানিক এসে টাটা গাড়ী মেরামত করে দেন।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বে করোনা এখনো দাফিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রতিদিন বিশ্বে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরন করছে। এই ভাইরাস সহজে যাবেনা। বাংলাদেশে এর প্রভাব এখন অনেক কম। তার মানে এটা নয় সুরক্ষা ছেড়ে দিতে হবে। যানবাহন চালানো এবং অন্য সময়েও সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান তিনি।
তিনি বলেন, আগামী অক্টোবর মাস থেকে টাটা গাড়ীর দাম বাড়ছে। গাড়ী তৈরীর প্রায় সকল প্রকার কাঁচা মালের দাম বাড়ায় টাটা কর্তৃপক্ষ দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু করোনাকালীন সময়ের কথা চিন্তা করে নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান পার্সের মূল্য ৩০ভাগ কমিয়ে দিয়েছেন বলে জানান তিনি। এছাড়াও চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত পূর্বের দামেই যানবাহন বিক্রি হবে। এরসাথে প্রধান অতিথি বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ ও পুরস্কার ঘোষনা করেন।
এদিকে গ্রাহক ও উপস্থিত অতিথিরা বলেন, করোনায় দীর্ঘ সময় লকডাউন এর কারনের তারা ব্যবসা করতে পারেননি। যানবাহন বেশীর ভাগ বসে থেকেছে। এতে তারা লোকসানে পড়েছেন। এ অবস্থায় গাড়ীর ইন্টারেস্ট মওকুফ করে আসল টাকা নেয়ার অনুরোধ করেন। তাদের অনুরোধে অনুষ্ঠানের সভাপতি তাৎক্ষণিক একটি নির্দিষ্ট পরিমানে ইন্টারেস্ট মওকুফের ঘোষনা দেন এবং আগামীতে সম্পূর্ণ ইন্টারেস্ট মওকুফ বিষয়ে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি।