নিজস্ব প্রতিবেদক: নানা বাধা বিপত্তি ও সরকারী সন্ত্রাসী ও পুলিশ লীগের নির্যাতন, গ্রেফতার, খুন ও গুমকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিএনপি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ গণসমাবেশ করেছে। এই গণসমাবেশে যোগ দিতে রাজশাহী থেকে ছুটে গেছেন জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী। নেতৃবৃন্দ শনিবার সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকার রাস্তার রাজশাহী জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের ব্যানার নিয়ে তারা বিক্ষোভ মিছিল করতে করতে গণসমাবেশে যোগ দেন। এসময়ে তারা এই সরকারের স্বৈরাচারী আচরন ও বিভিন্ন দূর্নীতির বিরুদ্ধে এবং সরকার পতনের স্লোগান দিতে থাকেন।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য দেবাশিষ রায় মধু, সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন, রায়হানুল আলম রায়হান, তাজমুল তান টুটুল, নওহাটা পৌর বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রফিক, চারঘাট বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন জালাল, রাজশাহী জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান সৌরভ ও সদস্য সচিব রেজাউল করিম টুটুলসহ জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী।
এ সময়ে মুঠোফোনে আবু সাঈদ বলেন, এই সরকার ঢাকার গণসমাবেশ বন্ধ করতে আইন শৃংখলা বাহিনী এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের আহত ও একজনকে গুলি করে হত্যা করেছে। সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ বিএনপি’র শত শত নেতাকমীকে আটক করেছে। বিএনপি অফিস তছনছ করে ফেলেছে। দলের মহাসচিব ও মির্জা আব্বাসকে অবৈধভাবে রাতের অন্ধকারে আটক করেছে। শত শত সিনিয়র নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে গ্রেফতারী পরোয়ানরা জারী করেছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, এত কিছুর পরেও ঢাকার গণসমাবেশ কোনভাবেই ঠেকাতে পারেনি। গোলাপবাগ মাঠ কানায় কানায় ভর্তি হয়ে চরিদিকে প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা মানুষে ভরে গেছে। সমাবেশ স্থল জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। সেইসাথে পুরো ঢাকা স্থবির হয়ে পরেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, কোন বাধাই বিএনপিকে রুখতে পারবেনা জীবন বাজি রেখে এই সরকারকে উৎখাত করা হবে হুঁশিয়ারী দেন তিনি।