নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘নারী ও কন্যা নির্যাতন বন্ধ করি, নতুন সমাজ নির্মাণ করি’- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে রাজশাহী মহানগরীর আলুপট্টি মোড় মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ রাজশাহী জেলা শাখার উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস -২০২২ পালন উপলক্ষ্যে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এই কর্মসূচী পালিত হয়।
মানববন্ধন ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কল্পনা রায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বরেন্দ্র উন্নয়ন প্রচেষ্টার নির্বাহী পরিচালক ফয়েজুল্লাহ চৌধুরী, প্রবীন সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান খান, রুলফাও এর নির্বাহী পরিচালক আফজাল হোসেন, দৈনিক সোনার দেশ এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, রাজশাহী ব্লাস্ট এর সমন্বয়কারী এডভোকেট সামিনা বেগম, এভাব এর চেয়ারম্যান আবুল বাশার পল্টু ও মানবাধিকার জোট সদস্য সচিব ও আসুসের নির্বাহী পরিচালক রাজকুমার শাঁও, প্রেসিডিয়াম সদস্য, ক্রীস্টিনা বিশ্বাস, সংগ্রামী জীবন মহিলা সমিতির সভাপতি সায়েমা পারভীন ও আলোর মিছিল নারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সুইটি ইয়াসমিন।
মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা বলেন, মানবাধিকার কোন দানের বস্তু নয়। এটি মানুষের জন্মগত অধিকার, রাষ্ট্রের প্রধান কর্তব্য তা মেনে নেওয়া। সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নীতি নির্ধারণে গোষ্ঠী চিন্তা করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও জাতি গোষ্ঠীকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বহুত্ববাদী সমাজ প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হয়। এটি একই সঙ্গে সামাজিক সংহতি সৃষ্টি করে সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। এই সভায় দাবি তোলা হয় খাদ্য জনগণের মৌলিক চাহিদা। সুষম খাদ্য ও ন্যায্য মূল্যে সেই খাবার পাচ্ছেন না। নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেষ্ট থাকার কথা বলেন তারা। সেইসাথে সংবিথান অনুযায়ী জনগণের অধিকার আদায় করতে হবে।
সভাপতি কল্পনা রায় বলেন, সবার জন্য মর্যাদা, স্বাধীনতা ও ন্যায় বিচার। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৪৮ সালের ১০ই ডিসেম্বর পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা পত্র পাস করে। এই ঘোষণা পত্রে ৩০টি অনুচ্ছেদ আছে যার মধ্যে অনুচ্ছেদ ১ এ মানুষের মর্যাদা ও অধিকার ভোগের ক্ষেত্রে সমতা, অনুচ্ছেদ ২ এ বৈষম্যহীনতা, অনুচ্ছেদ ৩ – ২৭ পর্যন্ত মানুষের অধিকার, ২৮ থেকে ৩০ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত রাষ্ট্র সমাজও ব্যক্তিগত দায়-দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে। মানবাধিকার দিবসের প্রত্যাশা পরিবার ও সমাজ হোক নারী কন্যা শিশু, পুরুষ, সংখ্যালঘু, হিজড়া, আদিবাসী সকলের নির্যাতন প্রতিরোধের দুর্গ বলে উল্লেখ করেন তিনি।