নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে পরকিয়া প্রেমের টানে ১৫ বছরের সংসারিক জীবনের ইতি টেনে নয়া প্রেমিকের হাত ধরে স্বামীর ঘর ছেড়েছেন নাতাশা ইসলাম এলিজা অরফে লিজা নামে এক গৃহবধু। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহী মহানগরীর দড়িখরবোনা এলাকায়। এলিজার স্বামী রাজিব বলেন, তাদের ১৫ বছরের সংসার জীবন। তাদের ঘরে ১৪ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। সন্তানের মায়াও না করে চলে যাওয়ায় এখন একমাত্র মেয়েকে নিয়ে বিড়ম্ববনায় পড়েছেন স্বামী রাজিব।
রাজিব বলেন, তাদের মধ্যে কখনো ঝগড়া বিবাদ ছিলোনা। এ সত্ত্বেও তিনি বিবাহিত লোকের হাত চলে গেছেন তার স্ত্রী। সেইসাথে তাঁকে তালাকের কাগজ পাঠিয়েছেন। অত্র তালাক নামাও সঠিক নয় বলে দাবী করেন তিনি। যাদের তিনি বলেন, তালাক পেপারে যাদের স্বাক্ষী করা হয়েছে, এরমধ্যে তার আপন ছোট ভাই ফাইসাল শেখ তারেক এর স্বাক্ষর জাল করা হয়। এ নিয়ে ফয়সাল বোনের বিরুদ্ধে ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখে স্বাক্ষর জালিয়াতির জন্য রাজশাহী মহানগর হাকিমের আদালতে মামলা করেছেন বলে জানা গেছে।
তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে তার স্ত্রী এলিজার আচরনের কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। প্রায় সময়ে কার সাথে যেন ধীরে ধীরে মোবাইলে কথা বলতেন। তাকে দেখলে বন্ধ করে দিতেন। জিজ্ঞাসা করলে তিনি অন্য কথা বলে কাটিয়ে দিতেন। এভাবে চলতে থাকার এক পর্যায়ে গত ২৫ আগস্ট ২০২২, বেলা ৩টার দিকে তার বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না বলে একমাত্র মেয়েকে রেখে পালিয়ে চলে যান। যাওয়ার সময়ে স্বর্ণাংকার, নগদ অর্থ, তিনটি দামী স্মার্ট মোবাইল ফোন ও প্রয়োজনীয় কাপড় নিয়ে চলে যান। পরে জানতে পারেন স্ত্রী শশুরবাড়িতে গেছেন। সেখানে গেলে শাশুরী রুবিনা বেগম অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তার মেয়ে আর সংসার করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। স্ত্রীকে নিয়ে আসার জন্য অনেক চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি।
তিনি বলেন, এ নিয়ে তিনি রাজশাহী বোয়ালিয়া থানায় স্ত্রী নিখোঁজ উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি করেন। রাজিব বলেন, তার শাশুরীর প্ররোচনায় স্ত্রী এ কাজ করেছেন বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, স্ত্রী চলে যাওয়ায় একমাত্র মেয়েকে নিয়ে মহাবিপদে পরে গেছেন। সামাজিকভাবে তিনি হেও প্রতিপন্ন হচ্ছেন। মেয়ে মানষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। এ নিয়ে দুঃচিন্তা করে তিনি স্ট্রোক করেন। এখনো তিনি অসুস্থ হয়ে আছেন। মেয়ের মুখের তাকিয়ে নামমাত্র ভালো থাকার ভান করে চলেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রেমিকরুপি ঐ ব্যক্তিকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানান তিনি। সেইসাথে বিনা কারনে স্ত্রী চলে গিয়ে তাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন ও মেয়েসহ তাকে বিপদে ফেলে যাওয়ার অপরাধে এবং স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া তালাক নামা পাঠানোর দায়ে স্ত্রী এলিজার শাস্তি এবং যে কাজী এই তালাক পেপারে স্বাক্ষর করেছেন তারও শাস্তির দাবী জানান তিনি। এ নিয়ে বেশী বারাবারি করলে তাকে প্রাণে মেওে ফেলার হুমকী দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।