নিজস্ব প্রতিবেদক: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান জেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী জেলা পরিষদের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। রাজশাহী জেলার পাঁচশত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করে রাজশাহী জেলা পরিষদ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সেইসাথে তাঁদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও বরণ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল হোসেন বলেন, জেলা পরিষদ সরকারের একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত। তিনি জনগণের সেবা করার জন্য এই চেয়ারে বসেছেন। তবে তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করবেন বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বক্তব্যের শুরুতেই মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান তিনি। সেইসাথে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হ ১৫ আগষ্ট নিহত তার পরিবারবর্গকে। তিনি আরো শ্রদ্ধা জানান জাতীয় চার নেতা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, ৩০ লক্ষ শহিদ, ২ লক্ষ নির্যাতিত মা-বোনসহ মুক্তিকামী জনতাকে। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে বাঙ্গালী জাতি পেয়েছে স্বাধীন মানচিত্র ও লাল সবুজ পতাকা।
তিনি আরো বলেন, প্রতিবছর রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা কোন লোভ-লালসা নিয়ে দেশের জন্য যুদ্ধ করেননি। যুদ্ধ করেছেন দেশকে স্বাধীন করার জন্য। বীর মু্িক্তযোদ্ধারা তাঁকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের আসনে এনেছেন। এদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তিকে আরো শক্তিশালী করে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবেন এবং দেশের উন্নয়ন অব্যহত রাখবেন বলে আশাব্যক্ত করেন তিনি। স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী অপশক্তিকে আটকাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা দেশের জন্য আবারো মাঠে নামবে এবং আগামী নির্বাচনে নৌকার জয় নিশ্চিত করবে বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন প্রধান অতিথি।
জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক শামসুল আলম বীর প্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিন্নাতুন্নেছা তালুকদার, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুর রহমান রাজা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদ আলী বীর প্রতীক। আরো বক্তব্য রাখেন, রাজপাড়া থানা মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আইবুর রহমান, পবা মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আরঙ্গজেব, বাঘা মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে এ্যাড. হামিদুর রহমান হক, মহানগর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন ও মোতাহার হোসেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা পরিষদের নির্বাচিত সংরক্ষিত সদস্য-১ এর শিউলী রানী সাহা, সংরক্ষিত সদস্য-২ এর সুলতানা পারভীন রিনা ও সংরক্ষিত সদ্যস্য-৩ সাজেদা বেগম, সদস্য-১ আব্দুর রশিদ, সদস্য-২ মাইনুল ইসলাম, সদস্য-৩ তফিকুর ইসলাম, সদস্য-৬ আবু জাফর প্রাং, সদস্য-৭ আসাদুজ্জামান মাসুদ, সদস্য-৮ জনাব আলী ও সদস্য-৯ মহিদুল ইসলাম।