নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পবা উপজেলার ৮নং বড়গাছি ইউনিয়নের মালোপাড়ায় ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খননের সময় ১ জনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট অভিজিত সরকার এর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে বালুমহাল ও ভূমি ব্যাবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ ধারায় বড়গাছি ইউনিয়নের খাঁ পাড়া গ্রামের নাজমুল আলম এর ছেলে রাজু (১৯) কে ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বড়গাছি ইউনিয়নের কয়েকটি বিলে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন গত বছর থেকে হয়ে আসছে। প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে রাজনৈতিক ছত্রছায়া ব্যাবহার করে এবং প্রভাবশালী ব্যাক্তির নির্দেশে এগুলো পুকুর খনন করা হচ্ছে। ইউনিয়নের যেগুলো বিলে পুকুর খনন করা হচ্ছে, সেগুলো বিলের জমিতে বছরে ৩টি করে ফসল হয় বলে স্থানীয়রা জানান।
এ বিষয়ে পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট অভিজিত সরকার বলেন, “এইবার প্রথম থেকেই তাঁরা অবৈধ পুকুর খননের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে আছেন। পবা উপজেলার কোথাও কোন বিলে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করতে দেওয়া হবে না। আপনারা ইতিমধ্যে দেখতে পাচ্ছেন যে যেসব বিলে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে, সেগুলোতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যেসব বিলে বা জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে সেগুলোতে কৃষকেরা ফসল উৎপাদন করতে পারে। এমন জমিতে যদি পুকুর খনন করা হয় তাহলে তা দিনে দিনে ফসল উৎপাদন করার জায়গা কমে আসবে বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন সারাদেশে কোথাও যেন এক ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা অনাবাদি না থাকে। সব জায়গায় যেন আবাদ করা হয়, শস্য ফলানো যায়। কিন্তু আমাদের এই পবা উপজেলায় যেভাবে ভূমিদস্যুরা পুকুর খনন করতে শুরু করেছে তাতে তো আর কয়েকদিন পরে চাষাবাদ করার জন্য জমি পাওয়া যাবে না। তাই তিনি আবারো সবাইকে হুশিয়ার করে বলেন, পবা উপজেলায় কোথাও কোনক্রমেই ফসলি জমিতে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করতে দেওয়া হবে না। রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল এর নির্দেশনায় পবা উপজেলা প্রশাসন পুকুর খননের বিরুদ্ধে তৎপর জিরো টলারেন্স নীতিতে আছেন। কেউ যদি পুকুর খনন করতে চায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বওে উল্লেখ করেন এসিল্যান্ড।