নিজস্ব প্রতিবেদক: দিন যতই যাচ্ছে, ততই এই সরকারের ক্ষমতার দিন ততই শেষ হয়ে যাচ্ছে। আগামী অক্টোবর মাসের তৃদীয় সপ্তাহের মধ্যেই এই সরকারের দিন শেষ হয়ে যাবে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজশাহী সাহেববাজারস্থ একটি কনভেনশন সেন্টারে আগামী দুই অক্টোবর ঢাকার পল্টনে বিকেলে কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ সপল করার লক্ষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথাগুলো বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে কৃষিকে সমৃদ্ধ করতেদ এবং কৃষকের ন্যায্য দাবী ও পাওয়না দেয়ার লক্ষ নিয়ে বাংলার রাখাল রাজা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কৃষক দল গঠন করেছিলেন। তিনি বলেন, তারুন্যেও অহংকার আগামীর রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমান সরকার পতনের জন্য ১২টি কর্মসূচী প্রদান করেছেন। তার মধ্যে এই কৃষক সমাবেশ একটি। এই সমাবেশের মধ্যে দিয়েই সরকার পতনের পথা ত্বরান্বিত হবে বলে উল্লেখ তিনি।

তিনি আরো বলেন, কৃষক দল বর্তমানে একটি সুসংগঠতি দল হিসেবে পরিণত হয়েছে। এই দল সরকার পতনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখছে। এই বিনাভোটের সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে। তিনি বলেন, এই সরকার নিজেদের বাঁচাতে এবং ক্ষমতা ধরে রাখতে নানা ভাবে নির্যাতন শুরু করেছে। বেগম জিয়াকে তিলে তিলে মেরে ফেলতে তাঁকে বিদেশে নিতে দিচ্ছেনা। তারা নানা অজুহাত দেখাচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপার্সনের কিছু হলে তার দ্বায় এই সরকারকেই নিতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই দিনব্যাপি এই সভায় শুভ উদ্বোধন করেন এবং বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহজানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এবং বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদের নি:শর্ত মুক্তি দাবী করেন তিনি।

এদিকে প্রধান বক্তার বক্তব্যে কৃষিবিদ হাসান জাফরী বলেন, দুই অক্টোবরের কৃষক দলের সমাবেশের মধ্যে দিয়েই এই সরকারের পতন ঘাটানো হবে। তিনি বলেন, এই সরকার কৃষক মারার সরকার। সকল প্রকার কৃষি পণ্যেও মূল্য বৃদ্ধি করে দেশে অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি করেছে। কৃষরা এখণ খেয়ে না খেয়ে দিনাদিপাত করছেন। শুধু নাই জমিতে সেচ দিতে না পেরে অনেক কৃষক আত্মহত্যা করছে। এই সকল নির্যাতন ও জুলুম আর সহ্য করা হবে না। তারেক জিয়ার একদফা বাস্তবায়নের রাজশাহী বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ নেতাকর্মী ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি। সকল জেলা থেকে আগত নেতৃবন্দ হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকার সমাবেশ সফল করার প্রতিশ্রুতি দেন।

জাতীয়তাবাদী কৃষক দল রাজশাহী বিভাগের আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষক দল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি হাসান জাফরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ.এইচ.এম ওবায়দুর রহমান চন্দন, কৃষক দল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদা হাবীবা, কৃষক দল কেন্দ্রীয় সংসদের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম শফি, কৃষক দল কেন্দ্রীয় সংসদেও প্রচার সম্পাদক সামছুর রহমান শামস, কৃষক দল কেন্দ্রীয় সংসদের রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর কৃষক দলের সাবেক আহ্বায়ক ওয়াদুদ হাসান পিন্টু ও কৃষক দল কেন্দ্রীয় সংসদের রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা কৃষক দলের সাবেক আহ্বায়ক আলামিন সরকার টিটু।

কৃষক দল কেন্দ্রীয় সংসদেও যুগ্ম সম্পাদক ফজলে হুদা বাবুল এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য দেবাশিষ রায় মধু, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা, সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ মামুন, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক শফিকুল আলম সমাপ্ত, মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক শরফুজ্জামান শামীম, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব আকুল হোসেন মিঠু ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান লিটনসহ রাজশাহী বিভাগের সকল জেলা বিএনপি ও কৃষক দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক সদস্য সচিবসহ অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।