মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন

তানোরে আদিবাসী শিক্ষার্থী ধর্ষণকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

  • প্রকাশ সময় মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৭৩ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর তানোরে ১৭ দিন পার হলেও আদিবাসী শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত আসামকে গ্রেফতার করতে পারেনি তানোর প্রশাসন। ধর্ষণের এতদিন পরেও প্রধান আসামীকে গ্রেতার করতে না পারায় আদিবাসীদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভের সুষ্টি হয়েছে। তাই আসামীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে তানোওে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার দুপুর ১২টার সময় তানোর থানা মোড়ের সামনে কলমা ইউনিয়ন পারগানা পরিষদ ও উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম এর আয়োজনে মানববন্ধন করেন আদিবাসীরা। মনববন্ধন হতে প্রধান অভিযুক্তকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানানো হয়।

তানোর উপজেলা পারগানা পরিষদ সভাপতি রমেশ মুর্মু এর সভাপত্বিতে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হিংগু মুরমু, কলমা ইউনিয়ন পারগানা ফিলিপ হেমব্রম, তালন্দ পারগানা জেঠা টুডু ও উত্তরবঙ্গ শিশু উন্নয়ন প্রকল্প ম্যানেজার গণেশ মার্ডী। এছাড়াও মানববন্ধনে একত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য রাখেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিমল চন্দ্র রাজোয়াড়, জ্যাপ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ছোটন সরদার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বক্তারা অবিলম্বে ধর্ষক জনিকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানান। নতুবা রাজশাহী জেলাসহ সারাদেশে আদিবাসীদের নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে বলে হুঁশিয়ারী দেন তারা।

উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হিংগু মুরমু বলেন- তানোর পুলিশ প্রশাসন ১৭ দিন ধরে শুধু ভুক্তভোগী পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়ে আসছে যে, তারা আসামীকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনবে। এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি প্রদান করা হয়। কিন্তু প্রশাসনের নিরবতা ভুক্তভোগী পরিবারসহ এই অঞ্চলে বসবাসরত অন্যান্য আদিবাসীদের জীবনে হতাশার সৃষ্টি করছে। তাই অতিদ্রুত আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই ধর্ষককে গ্রেফাতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

উল্লেখ্য যে, তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়ন সালবাড়ি সল্লাপাড়া আদিবাসী গ্রামের ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে তার ১০ বছর বয়সি ভাইকে নিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার স্কুল ছুটি থাকায় দুপুরে দুই ভাই-বোন বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে মাঠে খাড়ির ধারে ঘাস কাটতে যায়। এ সময় একই গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে জনি (৩২) এবং আবুল কালামের ছেলে আলি (৩৬) ফাঁকা মাঠে দুপুরে ছোট দুই ভাই-বোন কে পেয়ে আলি তার ছোট ভাইকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে আর জনি ৫ম শ্রেনির ছাত্রীকে জোর করে মুখে গামছা দিয়ে আটকিয়ে ধর্ষন করে ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ধর্ষনের শিকার আদিবাসী ছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা। ধর্ষনের ঘটনায় ভুক্তভোগির পিতা বাদি হয়ে শনিবার রাতে দুইজনকে আসামী করে তানোর থানায় একটি ধর্ষনের মামলা দায়ের করেনে।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2021 dailysuprovatrajshahi.com
Developed by: MUN IT-01737779710
Tuhin