নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন করি, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করি’ এই প্রতিপাদ্যে রাজশাহীর পবা উপজেলায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে দিবসটি পালন উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। জন্ম ও মৃত্য নিবন্ধনে উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন বিশেষ অবদান রাখায় উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক সম্মননা স্বারক ও পুরষ্কার প্রদান করা হয়। প্রথম স্থান হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ, দ্বিতীয় স্থান বড়গাছী ইউনিয়ন পরিষদ, তৃতীয় স্থান পারিলা ইউনিয়ন পরিষদ।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আরজিয়া বেগম ও ওয়াজেদ আলী খাঁন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা: সুব্রত কুমার সরকার, হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান বজলে রেজবী আল হাসান মুঞ্জিল, দামকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও পারিলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মোরশেদ।
উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা শামসুন্নাহার এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জাহিদ হাসান রাসেল। এছাড়াও উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা গোলাম ফারুক, উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার আবুল কালাম আজাদ, পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন পবা প্রতিনিধি মুসলেহুদ্দীন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তন্ময় কুমার সরকার, পবা থানা সাব ইন্সপেক্টর শামীম, বিডিএমডিএ সহকারী কর্মকর্তা আবুল কাশেম, উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রোজী খন্দকার, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিব, সদস্য, উদ্যোক্তা, গ্রাম পুলিশ সহ পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
সভায় বক্তাগণ বলেন, জনগনের বর্তমানে সকল পর্যায়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুসারে ২০৩০ সালের মধ্যে ৮০ ভাগ মানুষকে নিবন্ধনের আওতায় আনার লক্ষ্যে নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন এবং কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন করার আহ্বান জানান বক্তাগণ।