নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলাদল রাজশাহী মহানগর শাখার আয়োজনে মঙ্গলবার বেলা ১২টায় বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির পুনর্বাসন বিষয় সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ সহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মহিলাদল রাজশাহী মহানগরের সভাপতি এডভোকেট রওশন আরা পপির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সকিনা খাতুনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহিলাদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রোকাসানা বেগম টুকটুকি, মহিলা দল রাজশাহী শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি নূর জাহান বেগম, সহ-সভাপতি ফাতেমা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গুলসান আরা মমতা, আসমাউল হুসনা, মনোয়ারা খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক জরিনা বেগম, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিফাত জেরিন তুলি, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক বিথী, সহ-ক্রীড়া বিসয়ক সম্পাদক লাভলীসহ মহানগরের অন্যান্য সদস্য ও সাংবাদিকবৃন্দ।
লিখিত বক্তব্যে সভাপতি এডভোকেট রওশন আরা পপি বলেন, এই সরকার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের খুন,গুম ও মিথ্যা গায়েবী মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। সাজানো মামলায় ফরমায়েশি রায় দিয়ে সাজা প্রদান করছে। তিনি বলেন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে একটি মিথ্যা ও সাজানো মামলায় অবৈধভাবে সাজা প্রদান করে কারাগারে রাখা হয়েছে। তিনি ছয়টি বছর ধরে কারাগারে আছেন। এই মামলায় বেগম জিয়াকে একদিনও কারাগারে রাখা যায়না। কারণ সি.আর.পি.সি ৪৯৭ ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে শিশু, মহিলা, বৃন্ধ এবং অসুস্থ হলে সে জামিন পাওয়ার হকদার। সে ক্ষেত্রে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন না পাওয়ার কোন কারন নাই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও বেগম জিয়াকে এই সরকার ভয় পায় বলে তাঁকে জামিন বা নি:শর্ত মুক্তি দিচ্ছেনা। এর তীব্র নিন্দ ও প্রতিবাদি জানান সংবাদ সম্মেলন থেকে। সেইসাথে বেগম জিয়াকে দ্রুত নি:শর্ত মুক্তি দিয়ে বিদেশ চিকিৎসা করোনোর জোর দাবী জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, ২৮শে জুলাই বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে দিবাগত পৌনে ১টার দিকে ডিবি পরিচয়ে ধানমন্ডি থানার পাশে ৬ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে এডভোকেট শফিকুল হক মিলনকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ঐ মামলায় গত ৬ আগস্ট ঢাকা হাইকোর্ট থেকে জামিন মঞ্জুর হলেও পরবর্তীতে জেল গেট থেকে নতুন ২টি মামলা দেখিয়ে আবারও গ্রেফতার দেখানো হয়। সেই থেকে একের পর এক মামলা করেই চলেছে পুলিশ। তিনি অসুস্থ্য হলেও রেহাই দিচ্ছেনা এই সরকার।
তিনি আরো উল্লেখ করে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে অবৈধভাবে আটক ও সাজা প্রদান করায় সকল ষড়যন্ত্র ও অবৈধভাবে মামলা ও আটক রাখার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং সকলের নি:শর্ত মুক্তি দাবী করেন সংবাদ সম্মেলন থেকে।